Barak Valley

অমৃত ভারত প্ৰকল্পে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্বিকশিত হবে নিউ করিমগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন

গুয়াহাটি : অমৃত ভারত প্ৰকল্পের অধীনে নিউ করিমগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে পুনর্বিকাশ ঘটানো হবে। অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্য রাজ্যগুলির রেলওয়ে ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুবিধাগুলিকে আরও বাড়াতে ২০২৪-২৫-এর অন্তর্বর্তী বাজেটে রেলওয়ে পরিকাঠামোর প্রকল্পগুলির জন্য ১০,৩৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে ৯১টি স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম (এবিএসএস)-এর অধীনে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধাযুক্ত করে পুনর্বিকশিত করা হবে।

আজ শুক্রবার উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, নির্বাচিত স্টেশনগুলির মধ্যে অসমের নিউ করিমগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অধীনে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে এক উল্লেখযোগ্য নতুন রূপ লাভ করবে। এই স্টেশন পুনর্বিকাশের ফলে নিকটবর্তী অঞ্চলগুলির রেল ব্যবহারকারীরা অত্যাধুনিক সুবিধা লাভ করবেন।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত নিউ করিমগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন হলো আসামের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন যা করিমগঞ্জ জেলার জনসাধারণকে পরিষেবা প্রদান করে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাযুক্ত ওয়েটিং হল-এর পাশাপাশি বিদ্যমান স্টেশন ভবনটি উন্নত সম্মুখ অংশ সহ সম্প্রসারণ করা হবে। অন্যান্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যেমন লিফ্ট/এস্কেলেটর, এফওবি, ক্যাফেটেরিয়া সুবিধা এবং মডার্ন সাইনেজ-এর পাশাপাশি জলের ফোয়ারা সহ সার্কুলেটিং এরিয়ায় নতুন করে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। নতুন টয়লেট ব্লকটি পুরুষ ও মহিলা যাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে নির্মাণ করা হবে। সার্কুলেটিং এরিয়ার সৌন্দর্যায়ন সহ উন্নতমানের পার্কিং সুবিধার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। যাত্রীদের সহজ চলাচলের জন্য প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্মে শেল্টার প্রদান করা হবে এবং মার্বেল পাথর, টাইলস ইত্যাদি দিয়ে নতুনভাবে সারফেস নির্মাণ করা হবে। আগমন ও প্রস্থানের পথ পুনঃউন্নয়ন করা হবে, যার ফলে যাত্রীরা উন্নতমানের পথ দিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।

সব্যসাচী জানান, ওই সব কাজের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রদান করা হয়েছে। নতুন স্টেশন ভবনের ফাউন্ডেশনের কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অন্যান্য যাত্রী সুবিধার জন্য কাজ যেমন কোচ গাইডেন্স বোর্ড, ট্রেন ইনফরমেশন ডিসপ্লে সিস্টেম, উন্নত সড়ক এবং ডিভাইডার ও দিব্যাঙ্গজনের জন্য সহজলভ্য ওয়াটার বুথের ব্যবস্থা ইত্যাদির জন্যও কাজ চলছে।

এই স্টেশনের উন্নয়নের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে এবং সমস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করে তুলবে। পুনর্বিকশিত স্টেশনটি ওই এলাকার আর্থ-সামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে, বলেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।

Show More

Related Articles

Back to top button