আগামী ৯ মে গুয়াহাটির আইটিএ সেন্টারে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নৃত্য ও সংগীতানুষ্ঠান, আয়োজক অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পৰ্ষদ
গুয়াহাটি, ৬ মে : আগামী ২৫শে বৈশাখ, ৯ মে গুয়াহাটির মাছখোয়ায় অবস্থিত আইটিএ সেন্টারে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২-তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করবে অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পৰ্ষদ। এ উপলক্ষ্যে ওই দিনের অনুষ্ঠানে একক রবীন্দ্রনৃত্য ও একক রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার গুয়াহাটি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে তথ্য দিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক ও অসম সরকারের ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পৰ্ষদের অধ্যক্ষ শিলাদিত্য দেব জানান, রাজ্যের ১৬টি শহরে গত ২৯ এবং ৩০ এপ্রিল স্থানীয়স্তরে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট আয়োজক এবং প্রতিযোগীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন শিলাদিত্য।
তিনি জানান, অসমের ১৬টি শহর যথাক্রমে শিলচর, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, হাফলং, লামডিং, হোজাই, নগাঁও, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, মরিয়নি, তেজপুর, গুয়াহাটি, বঙাইগাঁও, কোকরাঝাড়, বিজনি ও ধুবড়িতে গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একক রবীন্দ্রনৃত্য এবং একক রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই প্রতিযোগিতাগুলিতে যে সকল প্রতিযোগী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন তাঁরা ৯ মে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীর দিন গুয়াহাটির মাছখোয়ায় আইটিএ সেন্টারে সারা অসম-ভিত্তিক চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি জানান, গুয়াহাটির চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় জয়ী তিন প্রতিযোগীকে একটি করে শংসাপত্র ও নগদ পুরস্কার যথাক্রমে ১০ হাজার টাকা, ৭ হাজার টাকা এবং ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
অন্যদিকে, সারা অসম-ভিত্তিক রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের মুখ্য কো-অর্ডিনেটর ড. সৌমেন ভারতীয়া জানান, মাছখোয়ার আইটিএ সেন্টারের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় যে তিন প্রতিযোগী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করবেন তাঁদেরকেই চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, শহর-ভিত্তিক প্রতিযোগিতাগুলির মতো গুয়াহাটির চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায়ও বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।
আইটিএ সেন্টারে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে অসমের বিখ্যাত গায়ক-গায়িকা যথাক্রমে মনীষা হাজরিকা, পুলক ব্যানার্জি, অনিতা শর্মা, রূপম ভুইয়াঁ, ড. মৌসুমী শহরিয়া, প্রিয়াঞ্জনা ভট্টাচার্য, সুশান্ত চৌধুরী ও আত্রেয়ী চক্রবর্তী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানে সৰ্বস্তরের জনসাধারণের প্রবেশ অবাধ। কোনও ধরনের প্রবেশ মূল্য লাগবে না বলে জানান ড. সৌমেন। ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পৰ্ষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে রবীন্দ্রপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তি সহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি উত্পল সরকার, সারা আসাম বাঙালি পরিষদের উপসভাপতি পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য, সমাজসেবী রক্তিম স্বামী।