করিমগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে
করিমগঞ্জ, ৩ জুলাই : করিমগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে৷ জেলার ৩ নদী বিপদসীমার উপর বইছে৷ ইতিমধ্যে ৩২০’র অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে৷ বন্যার কবলে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ৷ বদরপুর কান্দিগ্রামে নদীবাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা প্লাবিত করেছে৷ হাজার হাজার মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ বন্যার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে জেলার সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪ জুলাই বুধবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ জেলাশাসক মৃদুল কুমার যাদব এক নির্দেশ জারি করে সব বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা করেছেন৷
বন্যার ২য় রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে করিমগঞ্জ৷ গত কয়েকদিনের মুষলধারে বৃষ্টির ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে৷ জেলার সিংলা ও লঙ্গাই নদীর জলে বহু মানুষ গৃহহারা হয়েছেন৷ উত্তর করিমগঞ্জের নতুন বেশ কয়েকটি এলাকা লঙ্গাই নদীর জলে প্লাবিত হওয়ায় ওইসব এলাকার মানুষ ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন৷ উমাপতি, বেতাইল ইত্যাদি এলাকার মানুষ এখনও বাড়িতে ফিরতে পারেননি৷ এরা বিভিন্ন শিবিরে দিনযাপন করছেন৷ কুশিয়ারা নদীর জল বাড়ায় বেশ কিছু এলাকার মানুষ আতঙ্কিত৷ কুশিয়ারা নদীর জল চরবাজার, পূর্ববাজার ইত্যাদি এলাকা দিয়ে শহরে প্রবেশ করে৷ সুপ্রাকান্দি এলাকার বন্যার্তরা এখনও জাতীয় সড়কের কিনারে বাঁশের ঘর বানিয়ে দিন কাটাচ্ছেন৷ জেলা প্রশাসনের তরফে আশ্রয় শিবিরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ বিতরণ করা চলছে৷