WorldEntertainmentOthers

পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধের অপচেষ্টা

সংবাদ সংস্থা, ঢাকা : মানুষ ধর্মের গণ্ডিতে পুরোপুরি আবদ্ধ হয়ে গেলে শেষ হবে সব আনন্দ, উত্‍সব। আরো বেশি শুরু হবে ধর্মীয় হিংসা, হানাহানি। বাংলাদেশ এখন সে পথেই। কারণ অনেক আছে।

পয়লা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ চলছে।

ফেসবুকে একজন লিখেছেন, আবার বাঙালী সাংস্কৃতির উপর আইনীভাবে আঘাত দেওয়ার অপচেষ্টা। আরেকজন লিখেছেন, খুব শীঘ্রই বাঙালির সবচেয়ে তাত্‍পর্যপূর্ণ এই সার্বজনিন উত্‍সবটি বিলুপ্ত হতে চলেছে।

অসাংবিধানিক এবং বে-আইনি উল্লেখ করে পহেলা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (৯ এপ্রিল) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সংস্কৃতি সচিব, ধর্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন বরাবর এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। এটি বন্ধে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট করার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

পরে আইনি নোটিশে থেকে উল্লেখ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।হাজার বছর ধরে, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাঙালি জনগণ একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে একটি কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।মূলত, এ কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের কোনো সম্পর্ক নেই।

‘মঙ্গল’ শব্দটি একটি ধর্মীয় সংশ্লিষ্ট শব্দ। সব ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে ‘মঙ্গল’ প্রার্থনা করে থাকেন। এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাষ্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-ক এর সরাসরি লঙ্ঘন, এমনটাই জানান আইনজীবী।

Show More

Related Articles

Back to top button