বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে করিমগঞ্জ সহচরীর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সূচনা
করিমগঞ্জ : আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭৪ সালের আজকের দিনেই করিমগঞ্জের ক’জন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাত ধরে গোড়াপত্তন হয়েছিল করিমগঞ্জ পাইকারি সমবায় সমিতির৷ দীর্ঘ সংগ্রাম ও ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ এক বিরাট প্রতিষ্ঠানের রূপ নিয়েছে এই সংস্থা৷
বুধবার, ১০মে ৫০ বছরে এই সংস্থা৷ পতাকা উত্তোলন করে করিমগঞ্জ পাইকারি সমবায় সমিতির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বর্ষব্যাপী কার্যসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন চেয়ারম্যান সুব্রত দেব৷ এ সময় বোর্ডের সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক সতু রায় সহ সংস্থার সকল সদস্য-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন৷
৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শতাধিক দুস্থ লোককে খাদ্যা সামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ বিকেলের কার্যসূচিতে ছিল সংবর্ধনা পর্ব, আলোচনা সভা এবং লাকি ড্র৷
সভার শুরুতে করিমগঞ্জ পাইকারি সমবায় সমিতির ৩ প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে সংবর্ধনা জানানো হয়৷
উপস্থিত উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সাহা, DSA সচিব সুদীপ চক্রবর্তী, প্রদীপরঞ্জন রায়কেও সংবর্ধনা জানানো হয়৷
এরপর প্রবীণ সাংবাদিক সতু রায়ের সঞ্চালনায় ‘সমবায় আন্দোলন এবং করিমগঞ্জ পাইকারি সমবায় সমিতির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচন সভায় সমবায় আন্দোলনে করিমগঞ্জ সহচরীর ভূমিকা নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন ড. সুখেন্দুশেখর দত্ত, বিনোদলাল চৌধুরী ও সন্তোষকুমার দত্ত৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্সের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন চেয়ারম্যান সুব্রত দেব৷ অনুষ্ঠানের শেষে লাকি ড্র-তে ১০ জন ভাগ্যবান বিজেতার হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়৷
উল্লেখ্য, সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এদিন থেকে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ আগামী ২০২৪-র ১০মে হবে মূল অনুষ্ঠান৷