World

আজ থেকে ঢাকায় ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন শুরু

ঢাকা : বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন।

শনিবার এই সম্মেলন শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী ওই সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।

তিনি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন এবং সম্মেলনে আগত অতিথিদের সম্মানে তার পক্ষ থেকে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এবারের আয়োজনের থিম শান্তি, প্রগতি এবং একটি প্রাণবন্ত ভবিষ্যতের জন্য অংশীদারিত্ব।

সম্মেলনে মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং আনুমানিক আরও ২৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী-মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ আরও দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।

ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন নামক এই সম্মেলন নিয়মিতভাবে আয়োজন করে আসছে।

সম্মেলনটি মূলত ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে আয়োজন করা হলেও এতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে।

এ পর্যন্ত সর্বমোট পাঁচটি সম্মেলন যথাক্রমে ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায়, ২০১৮ সালে ভিয়েতনামে, ২০১৯ সালে মালদ্বীপে এবং ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-পরবর্তী বৈশ্বিক অবস্থা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এই প্রতিপাদ্যটি খুবই যুক্তিযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশা করছি যে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনেক সুপারিশ ও মতামত উঠে আসবে, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যত্‍ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যখন কার্যক্রম শুরু করেন তখন তিনি সাগর ও সাগর অর্থনীতির ওপর বিশেষ জোর দেন।

তাঁর প্রগাঢ় বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে তিনি আমাদের স্বাধীনতার পরপরই দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বঙ্গোপসাগরের তাত্‍পর্য যথাযথভাবে উপলব্ধি করেছিলেন।

তিনি ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন, যা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সামুদ্রিক আইন। তদুপরি তিনি সামুদ্রিক সীমানা সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য নেগোসিয়েশন সূচনা করার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দেন, যাতে বাংলাদেশ তাঁর জনগণের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির জন্য টেকসই সমুদ্র সম্পদ অন্বেষণ করতে পারে।

বলা বাহুল্য যে, আমাদের সব উন্নয়ন-আকাক্সক্ষা জাতির পিতার কাছ থেকে এসেছে। উন্নয়নে সমুদ্র অর্থনীতির প্রাসঙ্গিকতাও তিনিই প্রথম অনুধাবন করেছিলেন। সেই আলোকে এই সম্মেলন বাংলাদেশে আয়োজন বিশেষ তাত্‍পর্য বহন করে।

Show More

Related Articles

Back to top button