Barak ValleyAssamNorth-East

আজ লক্ষীপুরে অনুষ্ঠিত হলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পথ সঞ্চালন

শুভ্রজীত আচার্যী, লক্ষীপুর : আজ ছিল সংঘের প্রান্ত সঞ্চালন দিবস, সেই উপলক্ষে দক্ষিণ আসাম প্রান্তের অন্যান্য জেলার সাথে সঙ্গতি রেখে লক্ষীপুর জেলায়ও অনুষ্ঠিত হলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পথ সঞ্চালন।

উক্ত অনুষ্ঠানটি লক্ষীপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে ভারত মাতা সংঘের সংস্হাপক ড.হেডগবর জী, গুর জী ও মহান বীর নেতাজীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অনুষ্ঠানের শুভারম্ব হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বয়ং সেবকদের মধ্যে বৌদ্ধিক রাখেন সংঘের দক্ষিণ আসাম প্রান্তের শারীরিক শিক্ষন প্রমুখ নির্মলেন্দু দেব মহাশয় । উনার বক্তব্যে তুলে ধরেন পরাক্রমী তথা মহান বীর নেতাজীর সেই পরাক্রমের কথা। নেতাজী অনুমান করতে পারেন যে অহিংসা নীতির মাধ্যমে ভারত কখনো স্বাধীনতা ফিরে পাবেনা তখন এই অহিংসা নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে ব্রটিশদের ভারত থেকে বিতাড়নের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নেতাজীর সেই পরাক্রম ও রণকৌশলের কাছে ব্রটিশরা বার বার পরাস্ত হওয়ার কারণেই ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়। তবে তৎকালীন কংগ্রেসের কিছু রাজনৈতিক নেতা ব্যাক্তিগত লাভ-লোভের জন্য ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করেছেন। কিন্তু যার পরাক্রমে ব্রিটিশ ভারত ছাড়তে বাধ্য হয় তাকেই রাজনৈতিক ষরযন্ত্রের শিকার হতে হয়ে এবং উনি আজও নিরুদ্দেশ ।

আজ সমগ্র দেশবাসী ভালো করেই বুঝতে পারছেন যদি নেতাজী রাজনৈতিক ষরযন্ত্রের শিকার না হতেন তবে সেই সময় ভারতকে দ্বিখণ্ডিত হতে হত না।

স্বাধীনতার পূর্বে অর্থাৎ ১৯২৫ইংরেজীতে সংঘের নির্মাণ হয়েছিল এবং স্হাপনা কাল থেকেই সংঘের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের মধ্যে রাষ্ট্র চেতনা, সাংস্কৃতিক চেতনা, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসকে জাগ্রত করা আর সেই হিসাবে দীর্ঘ ৯৮ বৎসর ধরে শাখার মাধ্যমেই সংঘের কাজ চলছে। কার্যকর্তা নির্মাণ হচ্ছে স্বয়ংসেবকরা সমাজ ও দেশ সেবার কাজ করে চলেছে ভারতকে পরম বৈভবশালী করে তোলার লক্ষ্যে।

পরবর্তী কালে ভগ্বধ্বজ উত্তলন করা হয় ও প্রার্থনা সমাপ্ত করে স্বয়ংসেবকরা পায়ে পা মিলিয়ে পথ সঞ্চালনে বেড়িয়ে পরেন। লক্ষীপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে ফুলের তল পয়েন্ট অব্দি পরিক্রমা করে ফিরে যান লক্ষীপুর বাসস্ট্যান্ডে। সংঘের লক্ষীপুর জেলার কার্যবাহ গৌতম শুক্লবৈদ্য যানান উক্ত পথ সঞ্চালনে ৪০টি গ্রাম,১০ টি বস্তি,ও ১টি নগর মিলে ১৯৫জন স্বয়ংসেবকরা অংশগ্রহণ করেছেন। এই কার্যক্রমে মূখ্য শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন সিদ্ধার্থ ময়রা।

Show More

Related Articles

Back to top button