আমন্ত্রণ পেয়েও রামমন্দিরের উদ্বোধনে যাবেন না একাংশ রাজনৈতিক দলের নেতা : মিশন
করিমগঞ্জ : ভারতবর্ষের আদি পুরুষ হচ্ছেন রাম৷ আমরা সবাই রামের বংশধর৷ ভারতবর্ষের সবাই হিন্দু ছিলেন৷ মোগল কত মানুষ নিয়ে এসেছিল? ভারতবর্ষের মানুষকে জোর করে, ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল৷ শুক্রবার ৩ নং ওয়ার্ডের শোভাযাত্রায় যোগদান করে এ কথা বলেন, ASTC-র chairman মিশন রঞ্জন দাস৷
তিনি বলেন, ৫০০ বছরের অপেক্ষার অন্ত হতে যাচ্ছে৷ আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারা রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে৷ এই রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে কিছু মানুষ অখুসি৷ মন্দির উদ্বোধনের নিমন্ত্রণ পেয়েও কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মন্দিরে যাবেন না৷ তারা কাকে খুশি করতে মন্দিরে যাচ্ছেন না! যদি রাম মন্দিরে যেতেন তাহলে তাদের কিছু পাপ মোচন হতো!
এই রাম মন্দিরের জন্য বিশাল আন্দোলন করা হয়েছে৷ বিগত ৫০০ বছর ধরে চেষ্টা চলছে৷ এর আগে ২২ বার চেষ্টা করা হয়েছিল রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য৷ কিন্তু প্রতিবারই দেশের মানুষ বিরোধিতা করে যাচ্ছেন, এখনও করছেন৷ রাম মন্দির হোক সেটা তাঁরা চান না৷ যাইহোক আর মাত্র ২ দিন, তারপরই রাম মন্দির জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান৷
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন ও রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে শুক্রবার করিমগঞ্জ শহরের লঙ্গাই অঞ্চলের ৩ নং ওয়ার্ডে শোভাযাত্রা বের হয়৷ এদিন ৩ নং ওয়ার্ডের জাহানপুর কালীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে জীবন্ত রাম, লক্ষণ, সীতা ও হনুমান নিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়৷ শোভাযাত্রায় রাখা হয় ঢাক-ঢোল, ব্যান্ডপার্টি, মাইক৷ মাইকে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে গান বাজানো হয়৷
ওয়ার্ড কমিশনার মিতা ভট্টাচার্য বলেন, রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা বের করা হচ্ছে৷ ঠিক একইভাবে আমাদের ওয়ার্ডেও শোভাযাত্রা বের করা হয়৷ এই শোভাযাত্রা সমস্ত ওয়ার্ড পরিক্রমা করবে৷
এদিন শোভাযাত্রা সুশৃঙ্খলভাবে ৩ নং ওয়ার্ডের সাথে ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের কিছু অংশ পরিক্রমা করে৷ বিপুল সংখ্যক জনতা রাম পতাকা হাতে নিয়ে মিছিলে অংশ নেন৷ পৌর কমিশনার নির্মল বণিক, বিধান দাস, ধীমান রায় সহ বিজেপির সদস্য ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন৷