আসামে আধার কার্ড সমস্যা ও মাটি পাট্টা নিয়ে বাঙালি নবনির্মাণ সেনার অনশন !

আসামে ২৭ লক্ষ আধার কার্ড রাজ্য বিজেপি সরকার কতৃক ব্লক করে রাখার জন্য এবং বসুন্ধরা স্কিমের আওতায় বাঙালিদের জমি পাট্টা না দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারি করিমগঞ্জে এক অনশনে বসতে যাচ্ছে বাঙালি নবনির্মাণ সেনা।
দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রীতম দেব জানিয়েছেন দীর্ঘ সময় থেকে বিজেপি সরকার আসামের বাঙালিদের ওপর বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে একদিকে যেমন NRC ছলনায় আধার কার্ড ব্লক করে দিয়েছে অন্য দিকে D votar নোটিশ দেওয়া, ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরা অন্যদিকে বসুন্ধার নাম করে মানুষের নথি সংগ্রহ করে উল্টা ওদের জমি উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রীতম দেব বলেন এতদিন তো বৈধ আধার কার্ড সক্রিয় যাদের ছিল তাদের কোন সমস্যা ছিলনা কিন্তু এখন আসামের যাদের বৈধ আধার কার্ড রয়েছে তাঁদেরও কার্ড বাতিলের নির্দেশ জারি করছে।
উনি উল্লেখ করে বলেন আঞ্চলিক এক পত্রিকার খবর অনুযায়ী দুধপাতিলে বাসিন্ধা এক ব্যাক্তির নামে নোটিশ জারি হয়েছে গৌহাটি থেকে কারণ হিসেবে আধার আইনের ২৮ এ র উল্লেখ রয়েছে যার তর্জা করলে পরিস্কার যে উক্ত ব্যক্তি ভারতের বৈধ নাগরিক নন এবং সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত। অথচ উল্লেখিত ব্যাক্তির এনআরসি তালিকায় নাম রয়েছে। আধার কার্ড বাতিল মানেই তিনি সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এটা কি করে সম্ভব ?
বলা বাহুল্য,এভাবে কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কারুর নাগরিক অধিকার কেড়ে নেবার এই নতুন ষড়যন্ত্রের মূল শিকার হবেন এই রাজ্যের বাঙালিরা। নিশ্চয়ই এমন নোটিশ আরো জারি হয়েছে। অর্থাৎ ডি ভোটার,ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল, এনআরসি র পর আবার রাজ্যের বাঙালি হেনস্থা করার নতুন পরিকল্পনা তৈরি!
উনার মতে একজোট হয়ে প্রতিবাদ না জানালে আগামীতে এই বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন যে কোন কেউ। তাই মনস্তাত্ত্বিক ভয়,দলাদলি ভুলে গনতান্ত্রিক প্রতিবাদে এগিয়ে আসতে সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন। রাজ্যের সকল বাঙালি অবগত যে আসামে ২৭ লক্ষ নাগরিকের আধার কার্ড সাময়িক বাতিল করে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে একাংশের নাম এনআরসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যাদের নাম এনআরসি তালিকায় ইতিমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাঁদের আধার কার্ড ঝুলিয়ে রাখা বা বায়োমেট্রিক লক এর নির্দেশ কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট দেননি আবার ত্রুটি পূর্ণ এনআরসির বাকি প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে রাখার সিদ্ধান্তও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত নয় সেটি সম্পুর্ণ বিজেপি সরকারের চক্রান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার ও আসাম সরকারের ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তার জন্যই এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
কিন্তু সরকারের এই অবিমৃষ্যকারিতার জন্য রাজ্যের সাধারণ নাগরিককে মাশুল দিতে হচ্ছে। আধার কার্ড আটকে থাকার জন্য তাঁরা কোন সরকারি সুযোগ বা অনুদানের সুযোগ পাচ্ছেন না, এমনকি সরকারি চাকরিতে আবেদন পর্যন্ত করতে পারছেন না। আবার জমি পাট্টাও দিচ্ছেন না বাঙালিদের। তাই দল মতের উর্ধে উঠে সবাই যেনো এই অনশনে যোগদান করেন এই আহ্বান জানিয়েছেন প্রীতম দেব।