করিমগঞ্জের ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে সোমবার জেলা কমিটির সভা

করিমগঞ্জে বন্যা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে জেলা কমিটির সভা : ব্যাপক সচেতনতা অভিযানের নির্দেশ ডিসির
জনসংযোগ, করিমগঞ্জ, ১৫ জুলাই : বন্যা পরবর্তী করিমগঞ্জ জেলায় শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া রোগ প্রতিহত করতে সোমবার জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদবের পৌরোহিত্যে তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা পর্যায়ের কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিসি মিনার্ভা দেবী আরামবাম, স্বাস্থ্য যুগ্ম সঞ্চালক ডা. সুমনা নাইডিং, অতিরিক্ত মুখ্য চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. এম সূত্রধর, এনএইচএম এর ডিপিএম হানিফ মোহম্মদ কৌশর আলম, করিমগঞ্জ বদরপুর পাথারকান্দি রামকৃষ্ণনগর ও নিলাম বাজারের সার্কেল অফিসার, সহকারি আয়ুক্ত ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক প্রিয়াঙ্কা ইয়ুমনাম, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার অশোক বিজয় দাস, জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক সৈয়দ আহিদুল ইসলাম, জেলা তথ্য ও জনসংযোগ আধিকারিক ইফতিখার জামান, সিডিপিও নবজ্যোতি কলিতা প্রমূখ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় এনএইচএম এর ডিপিএম হানিফ মোহম্মদ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ৫ বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুদের ডায়রিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করা বিভিন্ন কার্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এতে জানানো হয় যে ডায়রিয়া যথাসময়ে শনাক্ত ও চিকিৎসক করা হলে কোন শিশুর মৃত্যু থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়গুলির মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ওআরএস এবং জিংক এর ব্যবহার পাশাপাশি ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বয়সের শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানো একান্ত জরুরী বলে জানানো হয়।
এদিকে প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক বলেও জানানো হয়। ডায়রিয়া প্রতিহত করতে জেলার প্রতিটি হাসপাতালে ওআরএস এবং জিংক কর্নার খোলা হয়েছে।
এতে জানানো হয় প্রতিটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র অনুসারে জনগণের মধ্যে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে এবং এই রোগ নিয়ন্ত্রণে যথাসময়ে ওআরএস এবং জিংক ট্যাবলেট ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সভায় সহযোগী বিভাগ মহিলা ও শিশু কল্যাণ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও স্বচ্ছ ভারত মিশন কার্যসূচী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগ, শিক্ষাবিভাগ ইত্যাদি সহযোগী বিভাগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা চালানোর কার্যসূচী স্থির করা হচ্ছে।
সভায় সভাপতির আসনে জেলা আয়ুক্ত সঠিক মানের প্রচার সামগ্রী প্রস্তুত করে বন্যা পরবর্তী সময়ে ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতা অভিযান চালাতে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সহযোগী বিভাগকে পরামর্শ দেন। এতে তিনি জনগণের মধ্যে স্বচ্ছতার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ এবং সচেতনতা তথা যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানান।