করিমগঞ্জের বহু নতুন এলাকায় ঢুকছে জল, বিপাকে ব্যবসায়ীরাও
করিমগঞ্জ : কুশিয়ারা নদীর জল ক্রমশ বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জ জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় নদীর জল প্রবেশ করে৷ স্টিমারঘাট, দেওপুর, চরবাজার, চরাকুড়ির সঙ্গে ব্যবসায়িক এলাকা মদনমোহন রোডেও নদীর জল প্রবেশের ফলে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েন৷ বৃহস্পতিবার ব্যবসায়িক এলাকায় ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে পৌরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন NSUI-র রাজ্য সম্পাদক শুভজিৎ চক্রবর্তী৷ করিমগঞ্জ জেলা সদরের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে৷ ৩য় দফার বন্যায় নাজোহাল সাধারণ মানুষ৷ মঙ্গলবার রাত থেকে নদী তীরবর্তী এলাকায় জনসাধারণের ঘরে জল প্রবেশের ফলে মানুষ আশ্রয় নেন ত্রাণ শিবিরে৷ বুধ ও বৃহস্পতিবার বহু এলাকা প্লাবিত হয়৷ বিশেষ করে মদনমোহন রোডে জল প্রবেশে চরম দুর্ভোগে পড়েন ব্যবসায়ীরা৷ জল নিষ্কাশনে পৌরসভার ভূমিকা নিয়ে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষোভ ব্যক্ত করেন, তেমনই জল সম্পদ বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন৷ ব্যবসায়ীদের খোঁজ নিতে NSUI-র রাজ্য সম্পাদক শুভজিৎ চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার এলাকায় ছুটে যান৷ সবকিছু দেখে পৌরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ নদীর জলের পাশাপাশি জমা জলের সমস্যা থেকে ব্যবসায়ীদের পরিত্রাণ প্রদানে পৌরসভার সক্রিয়তা কামনা করেন শুভজিৎ৷ বলেন, গোটা বছর নালা-নর্দমা পরিচ্ছন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়৷ কিন্তু অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যায়৷ অন্যদিক, নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়৷ বন্যা এলে বাঁধ সংস্কারে নামেন বিভাগীয় কর্তারা৷ মূলত বন্যা সাধারণ মানুষের কাছে অভিশাপ হলেও কতিপয় ঠিকাদার ও আমলার কাছে আশীর্বাদ বলে কটাক্ষ করেন শুভজিৎ৷