করিমগঞ্জের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভক্তি শ্রদ্ধায় শ্রীরাম পূজন
- মঠ-মন্দির সহ পাড়ায় পাড়ায় রামপূজা, মহাযজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণ
- অযোধ্যার আদলে রাম মন্দির দেখতে উপচে ভিড়
করিমগঞ্জ : একটা ছোট্ট তাঁবুতে থাকতে থাকতে অবশেষে একটা স্থায়ী ঘর পেলেন৷ এতদিন রামের একটা ছোট্ট মূর্তি পূজা হত৷ প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় গোলাপি বেলেপাথরের মন্দির গড়া হয়েছে৷ মার্বেল পাথরের বেদিতে বসানো হয়েছে ৫১ ইঞ্চি উঁচু রামের মূর্তি৷ এদিন এমনটাই মন্তব্য করেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি অভিজিৎ রায়৷
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে করিমগঞ্জের বিভিন্ন মঠ-মন্দিরেও পূজার্চনা ও যজ্ঞানুষ্ঠান হয়৷
করিমগঞ্জ বাজার সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালীমায়ের মন্দিরে রামের পূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ মন্দির পরিচালনার কর্মকর্তা ও পৌরকমিশনার যিশুকৃষ্ণ রায়ের উদ্যোগে সকাল ৭টায় মন্দিরে ঘট প্রতিস্থাপন করে পুজো আরম্ভ হয়৷ সকাল ১০:৩০টা থেকে রামনাম জপ, হনুমান চালিশা পাঠ ও যজ্ঞানুষ্ঠান হয়৷ দুপুর ১টা থেকে বিতরণ করা হয় মহাপ্রসাদ৷ এদিন ১০০৮ জনকে রামগীতা বিতরণ করেন যিশুকৃষ্ণ রায়৷ অযোধ্যার রাম মন্দিরের অনুকরণে শিল্পি বিশাল দাস ও বিমল দাস-র তৈরি রাম মন্দিরের মডেল এদিন বাজার কালীবাড়ির শোভা বর্ধন করেন৷
অন্যদিকে, করিমগঞ্জ টাউন কালিবাড়িতে দিনভর রামের পূজার্চনা হয়৷ সারা দিন চলে রামায়ণ পাঠ৷ দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ মঙ্গলবার যজ্ঞানুষ্ঠান শেষ হবে বলে জানান পরিচালন সমিতির সম্পাদক সুব্রত দাস৷
মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী প্রভাসানন্দজি মহারাজের উপস্থিতিতে সোমবার ভোর ৪:৩০টায় মঙ্গলারতি, ৫:৩০টায় বৈদিক মন্ত্রপাঠ ও ভজন হয়৷ সকাল ৬টায় স্তোত্র পাঠ ও ভজন৷ ৭টায় শ্রীশ্রী ঠাকুরের বিশেষ পূজা হয়৷ ৮টায় ভজনাঞ্জলি এবং ১০টায় হোম ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়৷ ১১:৩০টায় ভোগারতির পর দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ বিকেল ৪টায় শ্রীরাম নাম সংকীর্তণ এবং সন্ধ্যায় শ্রীশ্রী ঠাকুরের আরতি হয়৷
বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি অভিজিৎ রায় বলেন, রামমন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন এক বিরাট প্রাপ্তি রামভক্তদের৷ বলেন, বহু মন্দিরে প্রদীপ পৌঁছে দেওয়া, বাড়ি বাড়ি গিয়ে রামমন্দির তৈরির লক্ষ্যে ইট সংগ্রহ করেছেন৷ দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২৪ -র ২২ জানুয়ারি স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে জানান অভিজিৎ রায়৷