করিমগঞ্জের মহিশাসনে ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্র্যাকের নির্মাণকাজে সন্তুষ্ট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বৈজয়ন্ত
করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জ জেলা সদরের উপকণ্ঠ মহিশাসন রেলওয়ে স্টেশনে ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্র্যাকের নির্মাণকাজ দেখে সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় উপ-সভাপতি তথা অসমে দলের প্রভারী বৈজয়ন্তজয় পাণ্ডা । অন্যদিকে অসমে দলের প্রভারীকে কাছে পেয়ে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে শিলচর-মহিশাসন নিয়মিত যাত্রীবাহী রেল চলাচলের জন্য দাবি জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালা, বিজেপির প্রদেশ স্তরের নেতা কণাদ পুরকায়স্থ, প্রাক্তন বিধায়ক তথা অসম রাজ্য পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস, করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখকে সঙ্গে নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মহিশাসনে নতুন রেল লাইনের কাজ পরিদর্শন করে সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন বৈজয়ন্তজয়।
ভারত-বাংলাদেশ সংযোগকারী রেললাইনের নির্মাণকাজ পরিদৰ্শনকালে বৈজয়ন্তজয় পাণ্ডা রেলের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এবং বিএসএফ অফিসারের সঙ্গে প্রতিবেশী উভয় দেশের সুরক্ষা সম্পর্কিত নানা বিষয়ে কথা বলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বৈজয়ন্তজয় পাণ্ডা। রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণের সঙ্গে জড়িত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বৈজয়ন্তজয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কল্যাণে গোটা দেশজুড়ে অসংখ্য ভূতল সড়ক, রেল সড়ক এবং বিমানবন্দর স্থাপনের কাজ চলছে। ভারতের করিমগঞ্জে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগকারী রেল সড়কও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন, বিগত প্রায় তিন দশক ধরে এই রেল সড়ক বন্ধ ছিল। তবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মউ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এই রেল সড়ক নির্মাণ করছে। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে।
বৈজয়ন্তজয় পাণ্ডা বলেন, এই রেললাইন ট্রেন চালু হয়ে গেলে দু-দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। অৰ্থনৈতিক ক্ষেত্ৰে লাভবান হবে প্রতিবেশী দুটি দেশ। কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় সে ব্যাপারে তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, জানান তিনি।