করিমগঞ্জের মাইজগ্রামে দুর্গাপূজার বিধি সম্পর্কিত এক দিবসীয় কর্মশালা সম্পন্ন
করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জের মাইজগ্রামে শ্রীহট্ট ভারত স্মৃতি বিদ্যালয়ে দুর্গাপূজার নানাবিধ বিধি সম্পর্কিত এক দিবসীয় কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে পঞ্জিয়নের মাধ্যমে কর্মশালা শুরু হলে আগমনী সংগীত পরিবেশন করেন রাহুল নাগ।
সভার সভাপতি নৃপেশ শর্মা পুরকায়স্থের প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে কর্মশালা শুরু হয়। সভায় শিক্ষক সুসময় ভট্টাচার্য সভার উদ্দেশ্য এবং উপযোগিতা তুলে ধরেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত প্রাক্তন বিধায়ক তথা এএসটিসি চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস বলেন, একমাত্র সংস্কৃত শিক্ষার মাধ্যমেই শুদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণ করা সম্ভব।
মাইজগ্রামে শ্রীহট্ট ভারত স্মৃতি বিদ্যালয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে মিশন বলেন, বিগত দিনে এই বিদ্যালয় থেকে দুই কৃতী শিক্ষক রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শচান্দ্র পঞ্চতীর্থ যে বীজ বপন করে গেছেন তা আজও অব্যাহত। সভায় বক্তব্য রাখেন নবেশ শর্মা পুরকায়স্থ, নৃপেশ শর্মা পুরকায়স্থ এবং বন্দনা ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় যোগ দিয়ে সংস্কৃত এবং বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে আলোচনা করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. গোবিন্দ শর্মা। ন্যাস ও মুদ্রা নিয়ে আলোচনা করেন নৃপেশ শর্মা পুরকায়স্থ। ঘটস্থাপন ও সংকল্প নিয়ে আলোচনা করেন সুদীপ চক্রবর্তী। গৌতম চক্রবর্তী আলোচনা করেন ষষ্ঠী পূজা ও অপরাজিতা পূজা। সন্ধিপূজা ও কুমারী পূজা নিয়ে আলোচনা করেন রঞ্জনকুমার ভট্টাচার্য। ভদ্র মণ্ডল ও মহাস্নান নিয়ে আলোচনা করেন চঞ্চল চক্রবর্তী, চণ্ডীপাঠ ও নবপত্রিকা নিয়ে আলোচনা করেন তপোময় ভট্টাচার্য। কর্মশালায় বরাক উপত্যকা থেকে ৬২ জন অংশগ্রহণ করেন। শান্তিমন্ত্র পাঠ শেষে অংশগ্রহণকারীদের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।