Barak Valley

করিমগঞ্জে নাবালিকার বিবস্ত্র মৃতদেহ, ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ, তদন্তে খোদ পুলিশ সুপার

করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জ জেলা সদরের উপকণ্ঠ সরিষা এলাকার জয়রাম কলোনিতে নিজেদের বসতঘর থেকে পল্লবী দেবরায় (পরিবর্তিত নাম) নামের এক নাবালিকার বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকা সহ গোটা করিমগঞ্জ শহরে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্যের। ঘটনার তদন্তে নেমেছেন খোদ জেলার পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস।

স্থানীয় উত্তেজিত বাসিন্দাদের অভিযোগ, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও সিআরপিএফ। চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে শহর জুড়ে। নাবালিকার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে খুনের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে জেলা বিজেপি, যুব মোর্চা, বিজেপির সরিষা-মহিশাসন মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল দাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করে এ ব্যাপারে স্মারকপত্রও তুলে দিয়েছেন যুব মোর্চার পদাধিকারীরা।

আজ রবিবার সকালে জয়রাম কলোনিতে ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পৌলমী দাসের। জানা গেছে, করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রাধীন লোয়াইরপোয়া থেকে বেশ কয়েকদিন আগে সরিষায় এসে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন ব্রজমোহন দাস (পরিবর্তিত নাম)। গত দুদিন আগে চার মেয়েকে ঘরে রেখে মনসা পূজা উপলক্ষ্যে গিয়েছিলেন লোয়াইরপোয়ায় গ্রামের বাড়িতে। আর আজ সকালে ঘর থেকে গোপনাঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় ১৪ বছরের স্কুলছাত্রী পৌলমী দাসের।

সকালে ঘটনা চাউর হলে প্রতিবেশীরা খবর দেন সদর থানায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতরাজ চৌধুরী, সদর থানার ওসি ভবেশ দিহিঙ্গিয়ারা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালে ছুটে যান পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস।

স্থানীয়দের কাছে জানা গেছে, মৃতার বিছানার পাশে উদ্ধার হয়েছে একটি এটিএম কার্ড। ম্যাজিস্ট্রেট রংভে ইংভির উপস্থিতিতে পৌলমীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

জনৈক প্রতিবেশী জানান, সাতসকালে তারা উলঙ্গ অবস্থায় পৌলমী দাসের মৃতদেহ প্রত্যক্ষ করেন। মৃতার অবস্থান দেখে তাঁদের স্পষ্ট ধরণা, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে বিশেষ ময়নাতদন্তের জন্য শিলচরে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটি পুলিশ বিশেষভাবে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এর পর তদন্তের গতি বাড়বে, জানান পুলিশ সুপার।

Show More

Related Articles

Back to top button