করিমগঞ্জে মশাল মিছিলে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

জল কামান দিয়ে পুলিশ নিভিয়ে দিল যৌথমঞ্চের মশাল
করিমগঞ্জ : ডিলিমিটেশনের খসড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ অব্যাহত। খসড়া বাতিলের দাবিতে মাঠে নেমেছে একের পর এক একাধিক দল ও সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রস্তাবিত খসড়া প্রত্যাহারের দাবিতে মশাল মিছিলে অংশগ্রহণ করলে পুলিশের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকে। কেবল তা-ই নয়, আহত হলেও পুলিশ গ্ৰেফতার করে কমলাক্ষ এবং শতাধিক কংগ্ৰেস ও নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের কৰ্মী-সমৰ্থক এবং সাধারণ নাগরিকদের।
মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে খণ্ডযুদ্ধ। তাছাড়া, বিধায়ককে গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিমগঞ্জ শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করেছে। জমায়েত জনতাকে ছত্ৰভঙ্গ করতে কাঁদানো গ্যাসও ছুঁড়েছে পুলিশ। পুলিশ মিছিলে অংশগ্ৰহণকারীদের ওপর নির্মম আতিশয্য চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবাদকারীরা। সদর থানার ভিতরে বসে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুহুর্মুহু মুর্দাবাদ ধ্বনি দিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিলিমিটেশনের খসড়া প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের ডাকে মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয় করিমগঞ্জে। আর এতে শক্তি প্রদর্শন করেছে করিমগঞ্জ সদর পুলিশ। সন্ধ্যা সাতটায় শহরের গঙ্গা ভাণ্ডারের সামনে থেকে মিছিল শুরু হলেই কড়া মেজাজে দলবল নিয়ে মাঠে নামেন ওসি, ডিএসপি। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিছিলে যোগদানকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর দুটি ইঞ্জিন দিয়ে মিছিলের ওপর জল ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় মিছিল। গ্রেফতার করা হয় বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ সহ শতাধিক প্রতিবাদকারীকে। পুলিশের দাবি, মিছিলের জন্য কোনও ধরনের আগাম অনুমতি নেওয়া হয়নি। যার দরুন বাধা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন পাঠানো পর্যন্ত করিমগঞ্জের সদর থানায় গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে বিধায়ক সহ প্রতিবাদকারীদের। তবে ঘটনা সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জেলা পুলিশ সুপারের। বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। গণতান্ত্রিকভাবে ১২ দলীয় ঐক্যমঞ্চ আন্দোলনে নামলে আজ তাঁদের নিগৃহীত ও অপদস্থ হতে হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত বরাকের ছেলেরা। এর জবাব দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বলেন ক্ষুব্ধ বিধায়ক কংগ্রেস নেতা কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।