Barak Valley

করিমগঞ্জে সুষ্ঠু ও সুরক্ষিতভাবে কালীপূজা ও দীপাবলি উত্‍সব উদযাপন করতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা

জনসংযোগ, করিমগঞ্জ : দীপাবলি হচ্ছে আলোর উত্‍সব এবং দীপাবলি ও কালী পূজার সময় ব্যাপক হারে বাজি পটকা ব্যবহার করা হয়। তাই এতে জনগণের জীবন ও সম্পত্তির হানি লাঘব করতে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে এই উত্‍সব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।

এই উদ্দেশ্যে করিমগঞ্জের জেলা আয়ুক্ত ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা প্রস্তুত করে বিভিন্ন বিভাগকে দায়িত্ব সমঝে দিয়েছেন।

এতে দীপাবলীর সময় জনগণের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে যে কোন ধরনের বাজি পটকা মজুত ও বিক্রির জন্য জেলা প্রশাসন থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বাজি পটকা মজুত ও বিক্রির স্থানে অগ্নি সুরক্ষার সরঞ্জাম ফায়ার এক্সটিংগুইসার, বালি ভর্তি বালতি ও জলের বালতি রাখতে হবে। এতে ব্যস্ত বাজার এলাকা, জনবহুল এলাকা, বাড়ি, হাসপাতাল, বাজি পটকার দোকান, রাস্তা, যানবাহন, পেট্রোল পাম্প, গ্যাস এজেন্সি ইত্যাদি স্থানে কোন ধরনের বাজি পটকা পোড়ানো বা ফাটানো যাবে না।

এছাড়া বাজি পটকা ব্যবহারের সময় কিছু বর্জনীয় ও করণীয় বিষয়গুলি হচ্ছে, পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের বাজি পটকা পোড়ানো স্থানে নেওয়া যাবে না । শিশুদের বাজি পটকায় অগ্নিসংযোগ করতে বাধা রয়েছে । বিস্ফোরিত না হওয়া বাজি পটকা পুনরায় পোড়ানোর চেষ্টা না করা, আতশবাজি ঘরের ভেতরে বা পার্কিংয়ের স্থানে না জ্বালানো, কখনও যেখানে সেখানে আতশবাজি ছুড়ে ফেলা অথবা একসাথে জড়ো করে জ্বালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । রকেট, এক হাজারের শট এ ধরনের বাজি পটকা রাস্তা অথবা আবাসিক এলাকায় ব্যবহার করা যাবে না ।

করণীয় বিষয়ের মধ্যে থাকছে জলভর্তি বালতি এবং প্রাথমিক চিকিত্‍সার বাক্স প্রস্তুত রাখতে হবে। বাজিপটকা ওপর ঝুকে অগ্নিসংযোগ করা থেকে বিরত থাকতে একটি লম্বা অগ্নিসংযোগকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করাতে হবে । বাজিপটকা আতশবাজি পোড়ানোর জন্য একটি বড় খোলা স্থান ব্যবহার করা, সব সময় ভাল মানের আতশবাজি ক্রয় করা এবং ব্যবহার করা আতশবাজি ফেলে দেওয়ার আগে একটি জলের বালতির মধ্যে নিমজ্জিত করতে বলা হয়েছে ।

সুরক্ষিত ভাবে কালীপূজা ও দীপাবলি উত্‍সব উদযাপন করতে এই নিয়মগুলি মেনে চলতে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

যদি কোন জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে যোগাযোগের জন্য ডিস্ট্রিক্ট ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা কার্যকরী থাকছে, ফোন নম্বর ০৩৮৪৩-২৬৫১৪৪ এবং টোল ফ্রি নম্বর ১০৭৭। পাশাপাশি পুলিশ কন্ট্রোল রুম ৮০৯৯৬৬২২৭৫।

এদিকে জেলার পাঁচটি অগ্নি ও জরুরী কালীন পরিষেবা স্টেশনের ফোন নম্বর হচ্ছে, করিমগঞ্জ ০৩৮৪৩-২৬২১০১ এবং ৭৬৩৭৯৩০৬৩৪, পাথারকান্দি ৮৬৩৮৭৯৪৮৫৪, নিলাম বাজার ০৩৮৪৩-২৬০৪৬৫ এবং ৯৯৫৪০৭৬৭৩৩, বদরপুর ০৩৮৪৩-২৬৮১৯৫ এবং ৯৪০১২৬৪২৯৬, রামকৃষ্ণ নগর ০৩৮৪৩-২৫৯০০৮ এবং ৭৩৯৯৫২৩১৫৭।

এছাড়া করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে যোগাযোগের নম্বর ৮১৩৫৯৩১৭৮৩। এতে পরিবেশ দূষণ ও শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পেতে জনগণকে দেশের নির্মিত গ্রিন ক্রেকার ব্যবহার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

Show More

Related Articles

Back to top button