করিমগঞ্জে সোমবার বন্যা প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা করলেন অভিভাবক মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা
জনসংযোগ, করিমগঞ্জ, ১২ জুন : রাজ্যের জল সম্পদ, তথ্য ও জনসংযোগ, সংসদীয় পরিক্রমা ইত্যাদি বিভাগের এবং করিমগঞ্জ জেলার অভিভাবক মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা সোমবার করিমগঞ্জ এসে বন্যা প্রস্তুতি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় মিলিত হন। সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় জেলাশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী জেলাশাসক সহ জেলার বিভাগীয় প্রধানদের সাথে বন্যা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পর্যালোচনা সভা করেন।
সভায় পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার, পৌরপতি রবীন্দ্র দেব, পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস, জেলা পরিষদের সিইও রুথ লিয়ানথাং, ডিডিসি দীপক জিডুং, সব এডিসি, চক্র আধিকারিক, সহকারী আয়ুক্ত সহ বিভাগীয় প্রধানরা এতে উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলাশাসক মৃদুল যাদব পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গ্রহণ করা প্রস্তুতির বিবরণ তুলে ধরেন। এতে জল সম্পদ বিভাগে মজুদ থাকা জিও ব্যাগ সহ অন্যান্য বন্যা প্রতিরোধী সামগ্রীর খতিয়ান তুলে ধরা হয়। মন্ত্রী এতে পর্যালোচনা করতে গিয়ে ওই সামগ্রী গুলি যথাযথ ব্যবহার এবং জরুরী কালীন পরিস্থিতিতে এর প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দেন।
এদিকে মন্ত্রী স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সহ চিকিৎসকদের নিয়মিত কর্তব্যের তালিকা প্রস্তুত করে রাখতে নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ত বিভাগকে জেলার সড়কগুলিতে থাকা ভাঙ্গন ও গর্ত গুলি অতি শীঘ্র মেরামত করতে নির্দেশ দেন। এতে মন্ত্রী পশু পালন ও পশু চিকিৎসা বিভাগকে বন্যা পরিস্থিতিতে পশু খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ঔষধপত্রের ভান্ডার প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেন। সভায় মন্ত্রী খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগকে অন্তত ১০ দিনের খাদ্য ভান্ডার জেলায় মজুত রাখা সুনিশ্চিত করতে বলেন।
এদিনের সভায় মন্ত্রী জেলার করিমগঞ্জ শহর সংলগ্ন কুশিয়ারা নদী বাঁধে নবনির্মিত পাকা রিটেইনিং দেওয়ালের খোঁজ নেন। পাশাপাশি বদরপুর পাথারকান্দি, রাতাবাড়ি ও জেলার অন্যান্য স্থানে থাকা প্রতিটি নদী বাঁধের খোঁজ নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
এর আগে ওইদিন মন্ত্রী জেলার ৬ জন হিতাধিকারীকে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার কার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন। সভা শেষে মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান যে করিমগঞ্জ জেলায় কোনও নদী বাঁধ উন্মুক্ত নেই এবং তিনি বিগত বছরে করিমগঞ্জ জেলায় বন্যা মোকাবিলায় গ্রহণ করা পদক্ষেপে সন্তোষ ব্যক্ত করেন।