Barak Valley

করিমগঞ্জ শহরের চার্চ রোডে ভূলন্ঠিত মানবতা

করিমগঞ্জ : জন্মদাত্রী মাকে বাঁশের ছাউনিতে রেখে অট্টালিকায় দিনযাপন করছেন কন্যা৷ নিজের যাবতীয় সুখকে বিসর্জন দিয়ে মেয়েকে মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য যে পরিশ্রম করেছিলেন তার মাশুল গুনছেন বৃদ্ধা মা৷ ফলে বয়সের ভারে ক্লান্ত অবাস্থায় বিছানায় নয়, আদরের কন্যার ভালোবাসায় মায়ের আশ্রয়স্থল স্নানাগার৷ মানবতাকে ভুলন্ঠিত করার মতো জঘন্য ঘটনা সংঘটিত হয় শহর করিমগঞ্জে৷ করিমগঞ্জ শহরের চার্চ রোডে ৮৫ বছরের মাকে বাড়ির একপাশে থাকা বাঁশের ছাউনির নীচে রেখে নিজ কন্যা দিন কাটাচ্ছেন অট্টালিকায়৷

সামাজিক মাধ্যমে এই দৃশ্য দেখে সভ্য সমাজের অনেকেই মেয়ে নামে কলঙ্ক ওই মহিলার বিরুদ্ধে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন৷ এবার দেখা গেল নিজ কন্যার হাতে লাঞ্ছিত মা৷ বছর ৮৫-র এক বৃদ্ধা স্নানাগারের এক কোণে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছেন৷ অথচ পাশে এক কক্ষে মেয়ে দিব্যি ঘুমাচ্ছেন৷ ওই ঘটনায় খবর পেয়ে বৃদ্ধার খোঁজ নিতে শহরের চার্চ রোডে যান গোটা জেলায় বিখ্যাত বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজন দেবরায়৷ তারই ক্যামেরায় ধরা পড়ে বছর ৮৫-র ওই বৃদ্ধার করুণ কাহিনী৷ যদিও মায়ের অবহেলার বিষয়টি কোনওভাবেই মানতে নারাজ বৃদ্ধার কন্যা

তার বক্তব্য, বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত বৃদ্ধা মা ঘন ঘন প্রস্রাব করে বিছানা নষ্ট করে দেন, তাই মাকে মাটিতে শুতে দিয়েছেন৷ চার্চ রোডের এমন ঘটনা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে সদর থানার দু’জন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ঘটনা প্রকাশ্যে আনা ব্যাক্তি সুজন দেবরায়৷ দেখা যায় বাঁশের ১টি ভাঙা ছাউনির নিচে মশারি টাঙানো অবস্থায় এলোমেলো কিছু কাপড়চোপড় পরে রয়েছেন৷ বিছানায় কাউকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির মালিককে খুঁজে বের করে আনা হয়৷

তবে বৃদ্ধার মেয়ে রাণু নাথ মায়ের প্রতি অবহেলার বিষয়টি কোনওভাবেই মানতে নারাজ৷ বাইরের লোকজন আসার আগেই নিজের মাকে গোয়াল ঘরের আকারে থাকা বাঁশের ঘর থেকে সরিয়ে ঘরের এক কোণে থাকা পরিত্যক্ত স্নানাগারে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখেন মেয়ে রাণু৷ অবশেষে সুজন সহ অন্যান্যরা রাণু নামের ওই মহিলার ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে বিছানায় নিয়ে যান৷

Show More

Related Articles

Back to top button