Barak Valley

করিমগঞ্জ-সুতারকান্দি সংযোগকারী জাতীয় সড়কের হাল ফেরানোর উদ্যোগ পৌরসভার

করিমগঞ্জ : টাউন ইদগা সংলগ্ন গর্তে ভরা জাতীয় সড়কে প্রাণ সংশয় নিয়ে যাতায়াতকারীদের জন্য কিছুটা আশার বাণী শোনালেন পৌর কর্তৃপক্ষ৷ শুক্রবার পৌরপতির অফিস চেম্বারে সড়কের বেহাল দশা নিয়ে ত্রিস্তরীয় এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈঠকে পৌরপতি রবীন্দ্র চন্দ্র দেব, উপ-পৌরপতি সুখেন্দু দাস, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবি দাস এবং সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ NHIDCL (Silchar) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গৌরাঙ্গ দেওঘরি উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন পৌরপতি৷

পৌরসভার অর্থে বিগত দুর্গাপুজোর আগে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাইপ লাইন মেরামত করেও কোনও কাজ হয়নি৷

উল্লেখ্য, গত ছ’মাস ধরে PHE-র পাইপ লাইন ফেটে অনর্গল জল বের হওয়ার ফলেই ওই এলাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়৷ কয়েকবছর আগে এখানে একই সমস্যা দেখা দিলে বিভাগের তরফে উল্টো দিকের নালায় পাইপ লাইন টেনে জল ফেলার ব্যবস্থা করা হয়৷ সেই ব্যবস্থা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলেও এ যাত্রায় কোনও কাজে লাগেনি৷ পৌরসভার অর্থে বিগত দুর্গাপুজোর আগে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাইপ লাইন মেরামত করেও কোনও কাজ হয়নি৷

পাইপ লাইন ফেটে ক্রমাগত জল বের হওয়ায় জাতীয় সড়ক ভেঙে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে৷ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে৷ গর্ত এড়িয়ে চলতে গিয়ে ই-রিকশা নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে৷ এনিয়ে সরব হন জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নবেন্দু শর্মাপুরকায়স্থ৷ সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেলা অধিবিদ্যা পরিষদের প্রাক্তন সম্পাদক অপূর্ব দত্ত৷ বেহাল সড়কের সংস্কার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে স্মারকপত্র পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের তরফে৷ সমাজকর্মী মনতোষ দেবের উদ্যোগে ২৫ জনের স্বাক্ষরযুক্ত স্মারকপত্রে সড়ক দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল থেকে শুরু করে আম জনতার দুর্দশার কথা উল্লেখ করা হয়৷ স্মারকপত্রের প্রতিলিপি দেওয়া হয় জেলা আয়ুক্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে৷

শুক্রবার দুপুর দু’টোয় পৌরপতির অফিস চেম্বারে সভায় উপস্থিত থাকতে বৃহস্পতিবার পৌরসভা থেকে চিঠি পাঠানো হয় সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ NHIDCL (Silchar)-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে৷ প্রতিলিপি পাঠানো হয় জেলা আয়ুক্ত, PHE-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যদের৷

এদিন সভা শেষে পৌরপতি রবীন্দ্র চন্দ্র দেব এবং উপ-পৌরপতি সুখেন্দু দাস জানান, সড়কের ভাঙন প্রতিরোধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ NHIDCL সড়কের নীচে পাইপ লাইন থেকে নির্গত জল থেকে সরাসরি ড্রেনে নিয়ে যেতে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করবে৷

অন্যদিকে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের তরফে পাইপ লাইন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব পৌরপতির কাছে পাঠানোর কথা জানান এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবি দাস৷ উপ-পৌরপতি সুখেন্দু দাস জানান, পাইপ লাইনের কাজের ব্যয়ভার বহন করবে পৌরসভা৷ পৌরপতি রবীন্দ্র চন্দ্র দেব বলেন, সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল হয়ে পড়েছে৷ তবে শীঘ্রই সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি৷ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কমিশনার বর্ণালী দত্ত, ছন্দা রায় সিং, সুকণ্যা দাস, পৌরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার রূপক মজুমদার প্রমুখ৷

Show More

Related Articles

Back to top button