ক্রিপ্টো কারেন্সির নামে অর্থ সংগ্রহ, ধৃত কাছাড়ের ২
করিমগঞ্জ : ‘ক্রিপ্টো কারেন্সি’র নামে কোটি কোটি টাকা সাবাড় করার সঙ্গে জড়িত কুখ্যাত দুই সাইবার অপরাধীকে করিমগঞ্জের রাতাবাড়িতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা। ধৃত দুই সাইবার অপরাধীকে সুলতান আহমেদ চৌধুরী এবং মুস্তাকিন আহমেদ লস্কর বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
ধৃত সুলতানের বাড়ি কাছাড় জেলার কাটিগড়া থানাধীন লেবারপুতা গ্রামে এবং মুস্তাকিন আহমেদ একই জেলার অন্তৰ্গত সোনাইয়ের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রতাপ দাস আজ শুক্রবার এ খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্রিপ্টো কারেন্সির নামে আমজনতাকে ভুল বুঝিয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা চলছিল করিমগঞ্জে। এ কাজে বেশ কয়েকজন এজেন্ট নিয়োগ করেছিল এই প্রতারক চক্র। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী এজেন্টরা জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করত। প্রদেয় মূল টাকার সঙ্গে অধিক লাভের প্রলোভন দেওয়া হতো জনতাকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জের কানাইবাজার এলাকার আতানগরের জনৈক জাহান উদ্দিন নামের ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ১২৬/২৪ নম্বরে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে নেমে গতকালই মধ্যরাতে রাতাবাড়ি থানার পুলিশ এই দুই সাইবার অপরাধীর সন্ধান পেয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
তিনি জানান, অভিযুক্ত সুলতান আহমদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা, দুটি মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট, অ্যাপলের ল্যাপটপ, চার চাকার দামি টাটা ন্যাক্সাস গাড়ি সহ বহু আপত্তিজনক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোরে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে করিমগঞ্জ সদর থানায়। দুই অভিযুক্তকে সদর থানায় টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা।
সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ পুলিশের এটা বড় সাফল্য বলে দাবি করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রতাপ দাস আরও জানান, সাইবার অপরাধের জাল বহু দূর বিস্তৃত। শুধু বরাক কিংবা অসম নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সাইবার অপরাধ চক্রীরা প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। শীঘ্রই আরও অপরাধী ধরা পড়বে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দাস জানান, ইতিমধ্যে ধৃত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য লাভ করেছেন তাঁরা। তবে তদন্তের স্বার্থে সে সব খোলসা করা সম্ভব নয়, বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রতাপ দাস।