ঘুষের টাকা নিতে গিয়ে দুর্নীতি দমনের হাতে এবার ধৃত অসমের এক পুলিশ অফিসার
ডিফু : : গত মঙ্গলবার ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগে কোকরাঝাড় জেলার অন্তর্গত গোসাঁইগাঁওয়ে ভিজিল্যান্সের জালে পড়েছিলেন রেভিনিউ সার্কল অফিসের লাটমণ্ডল এবং এক মহুরি। আজ এভাবে ঘুষের টাকা নিতে গিয়ে দুর্নীতি দমনের হাতে ধরা পড়েছেন খোদ অসম পুলিশের জনৈক অফিসার। ধৃত পুলিশ অফিসার কারবি আংলং জেলার অন্তর্গত ডকমকা থানার ওসি সাব-ইনস্পেক্টর (ইউবি) সনত্কুমার মুদৈ।
ডকমকা থানা এলাকা দিয়ে লোহার রড/সিমেন্ট বহনকারী ট্রাককে বিনা বাধায় চলাচলের সুযোগ করে দিতে জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে নগদ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন ওসি সনত্কুমার মুদৈ। ঘুষ দিতে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীটি ওসি মুদৈয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিরেক্টরেট অব ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনের দ্বারস্থ হন।
অভিযোগ পেয়ে ছক কষেন ভিজিল্যান্সের অফিসাররা। সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার ডকমকা থানা চত্বরে সাদা পোশাকে গুয়াহাটি থেকে আগত ডিরেক্টরেট অব ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনের অফিসাররা অপেক্ষা করেন। কষা ছক অনুযায়ী অভিযোগকারী ব্যবসায়ী দাবির প্রথম কিস্তি হিসাবে নগদ চার টাকা যখন ওসি সনত্কুমার মুদৈয়ের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন, তখন স্বতন্ত্র কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ছুটে গিয়ে হাতেনাতে দুর্নীতি দমনের অফিসাররা পাকড়াও করেন তাকে।
এর পর থানা চত্বরে অবস্থিত ওসির সরকারি আবাসে তালাশি চালিয়ে নগদ পরিমাণ ১৭,৭৪,৫০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ভিজিল্যান্স ও দুর্নীতি দমন অধিকরণের দল। যথেষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে ডকমকা থানার ওসি সাব-ইনস্পেক্টর (ইউবি) সনত্কুমার মুদৈকে আসামের ডিরেক্টরেট অব ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনের অফিসাররা গ্রেফতার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অ্যান্টি-করাপশন ব্যুরো (এসিবি) থানায় ৮২/২০২৩ নম্বরে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮ (২০১৮ সালে সংশোধিত)-এর ৭ (এ) ধারা মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
