জমাজলে ডুবছে করিমগঞ্জ শহর, নাগরিকদের ক্ষোভ বাড়ছে পৌরপতির ওপর
করিমগঞ্জ : শহরকে সাজিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বোর্ড দখল করে কোনও কাজই করছে না পৌরসভা৷ শহরের সিংহভাগ নালা আবর্জনাময় হয়ে রয়েছে৷ এগুলোর দিকে ভুলেও তাকাচ্ছেন না নির্দিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনাররা৷ যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই নালা উপচে শহরের জল জমা হয়ে যাচ্ছে৷ এ নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েছেন পৌরপতি রবীন্দ্র দেব৷ কাজ না করলে চেয়ার ছাড়ার জন্য পৌরপতির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন নেট নাগরিকরা৷
ডবল ইঞ্জিনের সরকার পৌরসভা দখল করলে ট্রিপল ইঞ্জিনে পরিণত হবে৷ এতে উন্নয়নের ফোয়ারা ছুটবে শহরে৷ কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকায় কাজ করতে অসুবিধে হবে৷ বড় বড় প্রকল্প আনা যাবে শহরের জন্য৷ এমন একের পর এক দিবাস্বপ্ন দেখিয়ে পৌরসভা দখল করতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি৷ কিন্তু বোর্ড গঠনের দু’বছর পার হয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে গোটা শহর৷ রবি ও সোমবারের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন এলাকা৷ এরমধ্যে রয়েছে ব্রজেন্দ্র রোড, রায়নগর ইত্যাদি এলাকা৷
নালার জল না কাটায় social media-য় পৌরপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করেছেন মানুষ৷ মূলত ব্রজেন্দ্র রোড ১০ নং ওয়ার্ডে রয়েছে৷ এই ওয়ার্ডে পৌর কমিশনার বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ ঘনিষ্ট শুভ্র দাস পুরকায়স্থ৷ তিনি একটানা একাধিকবার পৌর কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন৷ সম্প্রতি কমলাক্ষের নির্দেশে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করছেন না বলে শুভ্রের প্রতি অভিযোগ৷ এমনকি নালাও নিয়মিতমসাফ করছেন না বলে অভিযোগ৷ তবে ওয়ার্ড কমিশনার নীরব বসে থাকায় সব ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন পৌরপতির ওপর৷ এ নিয়ে social media-য় রবির বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করেছেন ব্রজেন্দ্র রোডের বাসিন্দারা৷ রবি দেব চেয়ারম্যান পদে বসে কোনও কাজই করছেন না৷ এমনকি নালা-নর্দমাও ঠিকমতো সাফ করাচ্ছেন না৷ ফলে অল্পবৃষ্টিতে শহর জলমগ্ন হচ্ছে৷ মানুষ ভোট দিয়েছেন কাজের জন্য৷ কাজ না করলে রবিবাবুর চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন৷