দক্ষিণ বদরপুরের বন্যা কবলিত অঞ্চল পরিদর্শন বিধায়ক বিজয় মালাকারের

করিমগঞ্জ : বন্যা কবলিত দক্ষিণ বদরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল ডিলিমিটেশনের ফলে রাতাবাড়ি সমষ্টির বেশ কয়েকটি গ্রামে চলে গিয়েছে রাতারাতি৷ এই সমষ্ঠিতে আজ বন্যা কবলিত মর্জাৎকান্দি, দত্তপুর, বছলা, ঘোড়ামারা সহ বিভিন্ন এলাকার বন্যাক্রান্তদের ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারের দেওয়া সুবিধা পাচ্ছেন কি না সে ব্যাপারে জানেন রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার৷ বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে গিয়ে খোঁজ নেন৷ পাশাপাশি পর্যাপ্ত রিলিফ প্রদান করার জন্য করিমগঞ্জের জেলাশাসককে জানান৷ বৃহত্তর বদরপুরের কয়েক হাজার মানুষ কয়েক হাজার মানুষ বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন৷ পশুধন নিয়েও মহা বিপাকে পড়েছেন৷ তাই পশুখাদ্য শীঘ্রই প্রদানের ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান৷
এদিকে, এইসব এলাকার বন্যাক্রান্তরা বিধায়কের কাছে অভিযোগ করেন, বাড়ি ঘরে বন্যার জলে প্লাবিত করলেও অনেক পরিবারকে বদরপুর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফিল্ড অফিসার নব দাস তাদেরকে ফুল ড্যামেজ, হাফ ড্যামেজের টালবাহনায় সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছেন৷ এই কথা শুনামাত্র বিধায়ক চটে লাল হন৷
সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জিপি সভাপতিকে বলেন, এখনই ফিল্ড অফিসারকে ফোন করতে৷ ফোনের মাধ্যমে ফিল্ড অফিসারকে ধমক দেন যাদের ঘরে জল ঢুকছে প্রতিটি ঘরে গিয়ে ফটো তুলে এদের সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করতে হবে৷
বলেন, আমার এলাকার বন্যাক্রান্তদের বঞ্চিত করা কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যাবে না৷ সকলকে সরকারের দেওয়া সাহায্য প্রদান করতে হবে৷ তৎসঙ্গে যূব মোর্চার সকল কর্মীদের নির্দেশ দেন বন্যাক্রান্তদের সরকারি সাহায্য পেতে নিজেরাও ফটো তুলে সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করতে৷
বলেন, সরকার বন্যাক্রান্তদের জন্য দেদার অর্থ বরাদ্দ করছে আর কিছু কিছু সরকারি আমলা এতে বাগড়া দিচ্ছেন৷ বিধায়ক বিজয় মালকারের এ ধরনের পদক্ষেপ বন্যাক্রান্তরা দেদার খুশি ব্যক্ত করেন৷