এপিসিসি নেতা-বিধায়ক কমলাক্ষের বিরুদ্ধে কটূক্তি, করিমগঞ্জে কুশপুতুল দাহ অভিভাবক মন্ত্রী পীযূষের

করিমগঞ্জ : অতীত দিনের ঘটনা প্রকাশ করলে মুখ দেখাতে পারবেন না উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক তথা অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (এপিসিসি)-র কার্যনির্বাহী সভাপতি কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, বলেছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ, তথ্য ও জনসংযোগ তথা করিমগঞ্জের অভিভাবক মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা। মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন বিধায়ক কমলাক্ষের নির্বাচন কেন্দ্র তথা গৃহ জেলা করিমগঞ্জের দলীয় কর্মকর্তা ও সমর্থকরা।
সাম্প্রতিককালে রাজ্য রাজনীতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী বাক্যদবাণের হিড়িক পড়েছে। গত কয়দিন ধরে বিধায়ক কমলাক্ষ বনাম জলসম্পদ বিভাগের মন্ত্রী পীযূষের মধ্যে তীব্র তরজা চলছে। আজ রবিবার করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের কর্মীরা ইন্দিরা ভবনের সামনে জমায়েত হয়ে মন্ত্ৰী পীযূষের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রীকে ভবিষ্যিতে এ ধরনের অশালীন মন্তব্য থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
জেলা কংগ্রেস থেকে শুরু করে ব্লক, যুব কংগ্রেস, সেবা দল, ইয়ং ব্রিগেডের কর্মীরা প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। কমলাক্ষ জিন্দাবাদ, পীযূষ হাজরিকা মুর্দাবাদ ধ্বনিতে তাঁরা এক করে তুলেন শহরের ব্যস্ততম এলাকা ব্রিজ রোড।
সাংবিধানিক পদে থেকে মন্ত্রী অসাংবিধানিক মন্তব্য করেছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা কংগ্রেসের নেতারা। করিমগঞ্জের অভিভাবক মন্ত্রীকে অতিসত্বর তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, নতুবা তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
পদের মর্যাদা রাখতে করিমগঞ্জের অভিভাবক মন্ত্রীর কাছে আহ্বান রাখেন শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ। তিনি বলেন, বরাক উপত্যকার নেতৃত্ব দিচ্ছেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। অসম বিধানসভার একমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠ বিধায়ক কমলাক্ষ। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, মাঠে নেমেও বিধায়ক কমলাক্ষকে গত নির্বাচনে হারাতে পারেননি, বলেন তাপস।