Barak Valley

পাহাড়ি মানুষের উন্নয়নে কিছুই করেনি কংগ্রেস : বিজয়

রামকৃষ্ণনগর : কংগ্রেস শাসনের শেষ ১০ বছর ছিল শুধু কেলেঙ্কারির৷ একের পর এক কেলেঙ্কারি করে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস৷ শুক্রবার দুল্লভছড়ায় বিজেপির জনজাতি মোর্চার জেলা কার্যনির্বাহী সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথাগুলি বলেন রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার৷

বিজয় বলেন, দলীয় মণ্ডল কার্যালয়ে এদিন অর্ধশতাধিক উপজাতি মানুষ বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন৷ বলেন, দক্ষিণ রাতাবাড়ি সহ কাটিলছড়া এবং পাথারকান্দির পাহাড়ি অঞ্চল রিয়াং, টিপরা, বর্মন সহ আরও কিছু উপজাতিদের বসবাস স্থল৷ কিন্তু এরা কেমন করে জীবন যাপন করছেন এসব বিষয়ে কখনই কংগ্রেস সরকারের নজরে পড়েনি৷ নির্বাচনের সময় এরা কিছু টাকা নিয়ে যেত আর লম্বাচওড়া আশ্বাস দিয়ে ভোট আদায় করত পাহাড়ি উপজাতিদের৷ কিন্তু উন্নয়নের কাজ কিছুই করেনি৷ নেই রাস্তাঘাট ও পানীয় জলের ব্যবস্থা৷ সরকারি সুবিধা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত ছিল এলাকাগুলি৷ যার ফলে একাংশ রিয়াং মানুষ উপায় না দেখে হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছিল৷ শোষণ আর বঞ্চনার কারণে পাহাড়ি যুবারা ছিল দিশাহীন৷ ফলে উগ্রপন্থা বেছে নেয় সহজ-সরল উপজাতি মানুষগুলো৷ অথচ এরা খুবই নিরীহ উপজাতি৷ এদেরকে মিজোরাম ঠাঁই দেয় নি, ত্রিপুরাতেও জায়গা ছিল না৷ আর দক্ষিণ রাতাবাড়ির বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায়ও তাদের ঠাঁই দেয়নি কিছু অসৎ মানুষ৷ শুধু ঠগবাজি হয়েছে এদের সঙ্গে৷

বিজয় উল্লেখ করেন, দেশে বিজেপি সরকার হওয়ার পর আপনা আপনিই এরা উগ্র কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয়৷ আর মোদি সরকার ও হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকারের প্রকল্পের ছোঁয়া পেয়ে ওরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে৷ সব সমস্যা দূর না হলেও সমস্যা দূর হবে এমন ভরসা জন্মেছে৷ এসব এলাকার উন্নতিতে বিজেপি সরকার কাজ করছে এবং তিনি, পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল এবং সাংসদ কৃপানাথ মালা আগামী দিনগুলিতে আরও অধিক কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ৷ ফলে বিধানসভা নির্বাচনের পর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি পাহাড়ি জনজাতির ভোট প্রায় ১০০%পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিধায়ক৷ মোদি-হিমন্ত গ্যারান্টিতে আশ্বস্ত এলাকার জনজাতি ভোটারও বলে দাবি করেন৷

এদিন যোগদান সভায় পৌরোহিত্য করেন দুল্লভছড়া মণ্ডল বিজেপি সভাপতি জিতেন্দ্র লাল রায়৷ সভায় উপস্থিত ছিলেন এসটি মোর্চার জেলা সভাপতি মানিক বর্মন, মোর্চার জেলা সাধরণ সম্পাদক স্নেহময় রিয়াং, মোর্চার রাজ্যিক কার্যকরী সদস্য জীবন তৌহাং রিয়াং, জেলা এসটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রবীর বর্মণ, চেরাগি জিপি সভাপতি বাবুরিল চরাই, জেলা পরিষদ সদস্য সঞ্জিত পাল প্রমুখ৷

Show More

Related Articles

Back to top button