Barak Valley

বকেয়া সহ চার দফা দাবির ভিত্তিতে করিমগঞ্জে রাঁধুনিদের বিক্ষোভ

করিমগঞ্জ, ১০ মে : জানুয়ারি মাস থেকে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া, বছরে ১০ মাসের পরিবর্তে ১২ মাসের মাসোহারা দেওয়া, প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নিয়মিত মাসোহারা প্রদান করা সহ কাজের স্থায়ীকরণের দাবিতে আজ বুধবার করিমগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয় সহ জেলার সবগুলি প্রাথমিক শিক্ষাখণ্ড অফিসে থালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন জেলার মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মীরা।

রন্ধন কর্মীদের প্রতি সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের বিরুদ্ধে চার দফা দাবিতে সারা রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয়গুলি ঘেরাওয়ের ডাক দেয় সারা অসম মধ্যাহ্ন ভোজন ইউনিয়নের অসম রাজ্য কমিটি।

উল্লেখ্য, বিগত ২৫-২৬ এপ্রিল সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভায় এই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা চলাকালীন সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব হঠাত্‍ কাহিলিপাড়ায় শিক্ষা অধিকর্রতার অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। আধিকারিক দাবির ন্যায্যতা মেনে নিয়ে বকেয়া মিটিয়ে দিতে তাঁর অক্ষমতা প্রকাশ করার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।

জেলার প্রতিটি বিক্ষোভস্থলে গলায় দাব সংবলিত প্ল্যা-কার্ড ঝুলিয়ে থালা বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখান রাঁধুনিরা।বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী রাঁধুনিরা বলেন, কিছুদিন পর পর রন্ধন কর্মীদের মজুরি বন্ধ করে সরকার।এর আগে অনেকবার এমন হয়েছে। প্রতিবারই আন্দোলন করে মজুরি আদায় করতে হয়েছে। একই দেশের অন্য অনেক রাজ্যে রন্ধন কর্মীরা মাসে সাত হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছেন, অন্যান্য অনেক সুবিধা পাচ্ছেন, অথচ অসম সরকার রাঁধুনিদের মাসে ১,৫০০ টাকা মিটিয়ে দিতে প্রতিবারই টালবাহানা করে থাকে।

এবার মধ্যাহ্ন ভোজন প্রকল্পে সরকারের বাজেট বরাদ্দ কমেছে। পড়ুয়া শিশুদের খাদ্য থেকে রন্ধন কর্মীদের মজুরিতে এর প্রভাব পড়বে। সামান্য মজুরিতে কাজ করা রন্ধন কর্মীদের মজুরির জন্য সরকারের টাকা নেই অথচ ভোটমুখী জন্য অরুণোদয় প্রকল্পের জন্য টাকা রয়েছে, অভিযোগ করেন তাঁরা।

এদিন করিমগঞ্জের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন শিলা দে, সান্ত্বনা মালাকার, রুমানা বেগম প্রমুখ। পাথারকান্দিতে নেতৃত্বে ছিলেন অর্চনা ঘোষ, জয়া দে, জরিনা বেগম, নিরুপমা সিংহ। মহাকলে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ইউনিয়নের করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি পার্থ হাজরা, রুকিয়া খানম, বাবলি মালাকার, সয়গুননেসা বেগম প্রমুখ। রামকৃষ্ণনগরে নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিয়নের করিমগঞ্জ জেলা সম্পাদিকা রুমা ধর, চম্পা নাথ।

বিক্ষোভ শেষে চার দফা দাবি সংবলিত স্মারকপত্র জেলা এবং ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের মারফত রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। বকেয়া মজুরি আদায় না হলে ইউনিয়ন বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবে বলে জানান ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

Show More

Related Articles

Back to top button