Updates

বাংলাদেশে অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাইল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

ঢাকা : বাংলাদেশে এবার স্থানীয় এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাইল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন কক্সবাজারের টেকনাফে গত ৬ মাসে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছে অন্তত ৬২ জনকে।

টেকনাফের তিনটি ইউনিয়ন হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়ায় মূলত এসব অপহরণ কাণ্ড ঘটছে। এ সব এলাকায় গত এক বছরে মাদকের চালান জব্দের ঘটনা কয়েক গুণ বেড়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর মতে, ইয়াবা ও আইস (ক্রিস্টাল মেথ) মাদক পাচারের কাণ্ড বাড়ার সঙ্গে এসব অপহরণের যোগাযোগ রয়েছে। একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী এসব অপহরণের সঙ্গে জড়িত।

মুক্তিপণ আদায়ে অপহরণের জন্য সন্ত্রাসীদের প্রথম লক্ষ্যবস্তু ইয়াবা কারবারি অথবা তাঁদের আত্মীয়স্বজন। এর পাশাপাশি এলাকার কৃষক, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা অপহরণের শিকার হয়েছেন।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা থেকে অপহৃত আলী হোসেনের (৫৫) সন্ধান না পেয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। গত রবিবার সকালে লেদার পাহাড়ি এলাকায় গরু চড়াতে গেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা কৃষক আলী হোসেনকে অপহরণ করে টেকনাফের গহিন পাহাড়ে নিয়ে যায়।

আলী হোসেনের বাড়ি লেদার মৌলভীপাড়ায়। আলীকে ছেড়ে দেওয়ার বিপরীতে অজ্ঞাতনামারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। এরপর থেকে যোগাযোগ বন্ধ। অপহরণের খবর পুলিশকে জানানো হলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

এ কারণে ঘটনা পুলিশকেও জানাতে পারছেন না। এদিন সকালে লেদার পুরোনো রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে গরু চড়াতে যান। সেখানে তাঁর কৃষিজমি রয়েছে।

ওই জমিতে চাষাবাদ করার পাশাপাশি কয়েক দিন ধরে গরু চড়ান। আজ সোমবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত তাঁর খোঁজ নেই। তাতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

রবিবার অপহরণের পর বেলা তিনটার দিকে মুঠোফোনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা জোগাড় করতে বলেন। এরপর অপহৃত আলীর সঙ্গে কথা বলতে দেন। ওই সময় আলী তাঁকে বলেন, তিনি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত হয়েছেন।

অপহরণের খবর পুলিশ, র‌্যাবসহ কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। এ কারণে অপহরণের খবর তাঁরা পুলিশকে জানাননি।

Show More

Related Articles

Back to top button