বিএসএফ-পুলিশের যৌথ অভিযানে করিমগঞ্জের কায়স্থগ্রামে প্রায় ৪ কোটি টাকার হেরোইন সমেত গ্রেফতার এক
নিলামবাজার : বিএসএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে করিমগঞ্জ জেলার কায়স্থগ্রামে প্রায় ৪ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। হেরোইন পাচারের অভিযোগে পাথারকান্দি থানাধীন জুড়বাড়ি হাতিরগুল গ্রামের জনৈক আবদুল রকিবের বছর ২৭-এর ছেলে সিফার উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে হেরোইন পাচারে ব্যবহৃত এএস ১০ জি ০২১৩ নম্বরের অল্টো কে১০ মডেলের চার চাকার গাড়ি।
এদিকে যৌথ অভিযানের আঁচ করে গাড়িতে বিদ্যমান আরও দুই পাচারকারী পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২-টা নাগাদ অভিযানে নামেন বিএসএফ-এর গোয়েন্দা আধিকারিক ও জওয়ানরা। অভিযানে সহযোগিতা নেওয়া হয় নিলামবাজার পুলিশ থানার। অসম-ত্রিপুরা ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক স্থানে পৃথক পৃথক স্থানে ওত্ পেতে থাকে বিএসএফ-পুলিশের অভিযানকারী দল। সাদা পোশাকে দলবল নিয়ে জাতীয় সড়কে অভিযানে শামিল হন নিলামবাজার থানার ওসি দীপজ্যোতি মালাকার।
সাফল্য আসে ২.৩০ মিনিটে। কায়স্থগ্রাম এলাকার জুলি হোটেলের সামনে সাদা রঙের এএস ১০ জি ০২১৩ নম্বরের অল্ট কে-১০ গাড়িতে তালাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ২-টি কার্টুনে ভরতি ৫০টি সাবান কেসে ৭৬৮ গ্রাম হেরোইন।
বিএসএফ-এর প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বাজেয়াপ্তকৃত মাদক সামগ্রীগুলির আনুমানিক বাজারমমূল্য ৪ কোটি টাকা। এছাড়া বাজেয়াপ্তকৃত অল্টো কারের দাম আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা হবে।
এদিকে বিপুল পরিমাণের মাদক উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান করিমগঞ্জের দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতরাজ চৌধুরী ও গীতার্থ দেবশর্মা। জানা গেছে, ধৃত পাচারকারীর বিভো মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কল লিস্ট খতিয়ে দেখে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত পাচারকারী গাড়িতে থাকা তার আরও দুই সঙ্গীর নাম জানিয়েছে বলে পুলিশের এক সূত্রের খবর। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম খোলসা করেনি পুলিশের সূত্রটি।
পুলিশের জনৈক আধিকারিক জানান, মাদক আইনে মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয়েছে সিফার উদ্দিনকে। নিলামবাজার এবং করিমগঞ্জ জেলার পদস্থ পুলিশ অফিসাররা ধৃত সিফারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আরও ধরপাকড়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের সূত্রটি।