বৃষ্টি বন্ধ হলেই করিমগঞ্জ-সুতারকান্দি জাতীয় সড়কের স্থায়ী কাজ : পৌরপতি
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে গর্ত ভরাট
করিমগঞ্জ : বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে এবং বৃষ্টি বন্ধ হলেই করিমগঞ্জ-সুতারকান্দি জাতীয় সড়ক সংস্কারের স্থায়ী কাজ শুরু হবে৷ তবে সাময়িকভাবে পথ সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যে বিভাগীয় তরফে চলছে৷ বিশেষ করে গর্তগুলো ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে শনিবার জানান, করিমগঞ্জের পৌরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব৷
তিনি বলেন, বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে৷ করিমগঞ্জ-সুতারকান্দি ৩৭ নং জাতীয় সড়কটি ক্রমশ নিজস্বতা হারাচ্ছে৷ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলপথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষাকারী এই সড়কের প্রয়োজন অপরিসীম৷ ভারত থেকে এই সড়ক দিয়ে বাংলাদেশে যেমন বিভিন্ন সামগ্রী রফতানি করা হয়, তেমনই বহু সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়৷ এর মাধ্যমে প্রচুর সরকারি রাজস্ব আদায় হয়৷ সুতারকান্দি বন্দর দিয়ে পণ্যগুলো যাতায়াত করে ৩৭ নং জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই৷ অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি শুধুমাত্র সংস্কারের অভাবে চরম বেহাল আকার ধারণ করেছে৷
করিমগঞ্জ পৌরসভার এলাকায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন মানুষের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ রামকৃষ্ণ মিশনের সম্মুখস্থল, শম্ভুসাগর পার্ক সংলগ্ন এলাকা এবং সরকারি স্কুলের সম্মুখ স্থল, পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা এবং জেলাশাসকের বাসভবনের সামনের অংশ বিশাল বিশাল গর্তে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে৷ সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য নিয়মিত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে৷ একইভাবে জেলাশাসক বাংলোর কাছে তৈরী হয়েছে বিশালাকার গর্ত৷ যার দরুণ যান দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে৷
পূর্ত NH-র অধীনে থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এমন বেহাল অবস্থার জন্য জনতার মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে৷ ই-রিকশার মতো হালকা যানবাহন প্রতি মুহূর্তে উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন, তেমনই বাইক আরোহীরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন৷ অগ্নিনির্বাপক বাহিনী কিংবা ambulance-র মতো জরুরীকালীন পরিষেবাও জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য প্রায়ই অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন৷ শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সরব হন পৌরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব৷
তিনি সড়কের বেহাল অবস্থা সংস্কারের জন্য NH শাখার কার্যবাহী বাস্তকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং বিভাগীয় কর্তার নির্দেশে এক প্রতিনিধি দল পৌরসভায় ছুটে এসে বৈঠকে বসেন৷ পৌরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব, পৌরকমিশনার ছন্দা রায় সিং সহ অন্যান্যরা বৈঠকে বসে আলোচনা করেন এবং সাময়িকভাবে পথটি সংস্কারের দাবি জানানো হয়৷
বিভাগীয় কর্তারা পৌরপতি আবেদনে সাড়া দিয়ে সড়ক সংস্কারে হাত দিন৷ বিভিন্ন স্থানে গর্তগুলো পাথর দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি পিচের প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে৷ বৃষ্টির জন্য কাজে অসুবিধা হচ্ছে৷ তবে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং বৃষ্টি কিছুটা বিরতি নিলেই স্থায়ীভাবে জাতীয় সড়ক সংস্কার হবে বলে জানান পৌরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব৷