Barak Valley

বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জ ফিরছেন কমলাক্ষ, স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কর্মী সমর্থকরা

২৯ ফেব্রুয়ারি করিমগঞ্জে আসছেন কমলাক্ষ
স্বাগত জানাতে রয়েছে বিশাল বাইক ও গাড়ি রেলি

করিমগঞ্জ : বিজেপি অফিসের পথে লাগানো হলো বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থর হোর্ডিং৷ এতদিন সেই জায়গায় ছবি সহ হোর্ডিং লাগানো তো দূরের কথা, নাম লেখাটাও সম্ভব ছিল না৷ এবার বিজেপিকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করার পর অসম্ভব সম্ভব হয়ে উঠলো৷ হোর্ডিং-এ জাতীয় কংগ্রেসের পতাকার রং-র পরিবর্তে ব্যবহার করা হল বিজেপি পতাকার রং গেরুয়া ও সবুজ৷

কংগ্রেসের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এখন বিজেপির তরিতে৷ বিধায়ক ফ্রেন্ডস ক্লাবের তরফ থেকে বিজেপি কার্যালয়ে যাওয়ার পথে যে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে ‘উন্নয়নের লক্ষে, জনগণের স্বার্থে, সরকারের পাশে’৷ এই কথাগুলো থেকে পরিষ্কার কংগ্রেসের বিধায়ক ও তাঁর সমর্থকরা বিজেপির উন্নয়নে আকৃষ্ট৷ বিজেপির উন্নয়নকে সমর্থন জানানোর পর ২৯ ফেব্রুয়ারি করিমগঞ্জে আসছেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ৷ বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার চিন্তাচর্চাকে স্বাগত জানিয়েছেন অধিকাংশ সমর্থক৷ তাই তাঁকে স্বাগত জানাতে একাংশ সমর্থক ছুটে যাবেন শিলচর বিমান বন্দরে৷

এদিন দুপুর ১টায় কলকাতা থেকে বিমানে শিলচর আসবেন বিধায়ক৷ তারপর গাড়ির বিশাল কনভয় তাঁকে স্বাগত জানিয়ে করিমগঞ্জের জেলা সদরে নিয়ে আসবে৷ স্থানে স্থানে লাগানো হবে তোরণ৷ গাড়ির বিশাল কনভয় নিয়ে শহরে সভা করলে ব্যাপক মাত্রায় যানজট সৃষ্টি হবে৷

কংগ্রেস অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ সেই দুর্বলতা কাটাতে কংগ্রেস যতটা তৎপরতা দেখানো উচিত ছিল সে ধরনের তৎপরতা নেই বললে চলে৷ ফলে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নিজের দলকে কিভাবে গুছিয়ে রাখে সেটাই দেখার৷ না হলে দিনে কংগ্রেস রাতে বিজেপির সংখ্যা বাড়তে থাকবেই৷

তাই এদিন জনসভা করার পক্ষপাতী নন বিধায়ক৷ বিধায়কের করিমগঞ্জ আগমন সফল করে তুলতে ফ্রেন্ডস ক্লাবের সদস্যরা রবিবার প্রশান্তি লজে এক বৈঠকে মিলিত হন৷ সেখানে প্রস্তাবিত বাজেট ও কোন এলাকা থেকে কতজন লোক আসবেন, তাদের গাড়ি দিয়ে শিলচর নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ আলোচনা সভায় বক্তব্য তুলে ধরেন পার্থসারথি দাস, সন্তোষ দে, আশিষ দাস পুরকায়স্থ, সন্দীপ নন্দী, শুভ দাস, মান্না দে, কল্যাণ দে পুরকায়স্থ প্রমুখ৷ শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড ছাড়াও গ্রাম ও বাগান এলাকায় থাকা বিধায়ক ঘনিষ্ঠ লোকদের স্বাগত রেলিতে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে৷

বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা তাকে স্বাগত জানাতে যত তৎপরতা দেখাচ্ছেন ঠিক সে ধরনের বিপরীতমুখী তৎপরতা নেই জেলা কংগ্রেসে৷ করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের একমাত্র কান্ডারী ছিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক৷ তিনি বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণার পর থেকে কংগ্রেস সংগঠন যেন অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ সেই দুর্বলতা কাটাতে কংগ্রেস যতটা তৎপরতা দেখানো উচিত ছিল সে ধরনের তৎপরতা নেই বললে চলে৷ ফলে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নিজের দলকে কিভাবে গুছিয়ে রাখে সেটাই দেখার৷ না হলে দিনে কংগ্রেস রাতে বিজেপির সংখ্যা বাড়তে থাকবেই৷

Show More

Related Articles

Back to top button