বেড়াজাল দুর্ঘটনা : বিধ্বস্ত দুই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন কৃষ্ণেন্দু
পাথারকান্দি : সম্প্রতি করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার এলাকার বেড়াজালে সংঘটিত এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছিল ছয়জনের। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল।
আজ বুধবার সরাসরি পাথারকান্দি থানাধীন দক্ষিণ কচুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা তথা দুর্ঘটনায় মৃত গুলজার হোসেনের বাড়িতে যান কৃষ্ণেন্দু পাল। পরে সেখান থেকে তিনি সোজা চলে যান চাঁদখিরায় মৃত অটো চালক রুহুল আলমের বাড়িতে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অটো চালক এবং একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করে প্রয়াতদের আত্মার সদগতি কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান বিধায়ক।
সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারগুলিকে বিমার টাকা সহ সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। বিধায়ক এদিন নিহত অটো চালক রুহুল আলমের পরিবারের হাতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ২৫ হাজার এবং একই দুর্ঘটনায় নিহত কচুবাড়ির গুলজার হোসেনের পরিবারের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন।
বিধায়কের সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মনোজ সূত্রধর, সুব্রত পুরকায়স্থ, কল্প দেব, অনিরুদ্ধ মজুমদার, পান্না গোপ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই নিলামবাজারের বেড়াজালে হোন্ডাই ভেনু বিলাসি গাড়ির বেপরোয়া গতির বলি হয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছিল পাথারকান্দির দক্ষিণ কচুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা গুলজার হোসেন, তাঁর স্ত্রী জাহেদা বেগম, তাদের দু বছরের শিশুপুত্র জাহিদুল ইসলাম, শাশুড়ি বেদানা বেগম, চাঁদখিরার অটো চালক রুহুল আলম সহ ছয় জনের।
এদিন সকালবেলা চাঁদখিরার রুহুল আলমের অটো ভাড়া করে পরিবারের লোকদের নিয়ে করিমগঞ্জ সেটেলমেন্ট এলাকায় ডাক্তার দেখাতে রওয়ানা দিয়েছিলেন কচুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা গুলজার হোসেন। কিন্তু দুপুরের দিকে নিলামবাজারের বেড়াজাল এলাকায় অসম-ত্রিপুরা ৮ নম্বর জাতীয় সড়কে দ্রুতগতিতে আগত একটি হোন্ডাই ভেনু মডেলের গাড়ি সজোরে ধাক্কা দিলে ধুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায় যাত্রী বোঝাই অটোটি।
ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যু হলেও বাকি আরও দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়. কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।