ভাষাগত বিভেদ ভুলে বরাক-ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে : কৃষ্ণেন্দু
করিমগঞ্জ : বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের ৩০তম কেন্দ্রীয় অধিবেশনের মধ্য দিয়েই বাংলা ও বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার বহমান আন্দোলন নতুন দিশা লাভ করবে৷ জাতি ও ভাষাগত বিভেদ দূর হয়ে বরাক-ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে৷ বরাকবঙ্গের কেন্দ্রীয় অধিবেশনে জোর দিয়ে কথাগুলো বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সমন্বয়ক তথা পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল৷
অখন্ড বাঙালি জাতিসত্তা ও বরাক উপত্যকার বহুভাষিক পরিচয়কে অক্ষত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি সংকোচন সত্ত্বেও নিজ লক্ষ্যে সুদীর্ঘ ৪৭ বছর বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন নিজ স্বকীয়তায় কাজ করে যাচ্ছে৷ ৬ বছর পর এবার করিমগঞ্জে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের ৩০তম দ্বিবার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়৷ ১৯-২১ জানুয়ারি করিমগঞ্জে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনকে ঘিরে রীতিমতো কবি-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলন মেলায় পরিণত হয় সীমান্ত জেলা সদর৷ সংগঠনের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শনিবার স্থানীয় বিপিনচন্দ্র পাল স্মৃতি ভবনে এসে উপস্থিত হন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল৷
কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত, অভ্যর্থনা সমিতির কার্যকরী সভাপতি ড. সব্যসাচী রায়, জেলা সম্পাদক নিশিকান্ত ভট্টাচার্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিধায়ক৷ বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাজকর্মে সন্তোষ ব্যক্ত করে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে অধিবেশনের সফলতা কামনা করেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল৷