মহাবীর পাবলিক স্কুলে শিশু সুরক্ষায় সচেতনতা কার্যসূচী

জনসংযোগ, করিমগঞ্জ : সোনালী শৈশব সুরক্ষিত অসম, ৯০ দিন ব্যাপী কার্যসূচির অধীনে বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জের জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগের উদ্যোগে করিমগঞ্জের লোয়াইরপোয়া মহাবীর পাব্লিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক সচেতনতামূলক কার্যসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার তথা জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক প্রিয়াঙ্কা ইয়ামনাম।
এতে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন গুয়াহাটি থেকে আগত রাজ্যিক শিশু সুরক্ষা সমিতির আধিকারিকবৃন্দ ডি এস লোখরা, মধুস্মিতা কাশ্যপ ও নাসিফা আলী । স্কুলের পক্ষ থেকে সবাইকে উত্তরীয় দিয়ে বরণ করা হয়। তারপর আধিকারিকরা শিশু সুরক্ষায় সমাজের দায়বদ্ধতা ও জড়িত করণের উপর জোর দেন । তারা বলেন, সমাজের প্রত্যেক ব্যাক্তির দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া। আজকের শিশু কালকে আমাদেরই ভবিষত্। তাই পৃথিবীর সব শিশুকে আমাদের নিজের করে ভাবতে হবে। তবেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ হতে বেশী দিন লাগবে না।
শিশু সুরক্ষা সমিতির সদস্য সত্যজিত্ দাস বাল্য বিবাহ, শিশু শ্রমিক, পোকসো আইন, বৈধ ও অবৈধ শিশু দত্তক নিয়ে আলোচনা করেন । তিনি নুন্যতম শিশু সুরক্ষা আইন গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা থাকা ভাল বলে জানান। যাতে শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করতে সুবিধা হয়। বাল্য বিবাহ নিয়ে তিনি জানান যে বাল্য বিবাহের জন্য শুধু পিতা মাতা দায়ী থাকবে না, আইননুযায়ী পুরোহিত, কাজী বা পাদ্রীও সমান দায়ে দায়ী থাকবেন। তাদের লাইসেন্স বাতিল হবে, এছাড়া পিতার মত তাদেরও ২ বছর পর্যন্ত জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। তাছাড়া বাল্য বিবাহে যারা নিমন্ত্রণ খেতে যাবেন তাদের জন্যও একই শাস্তির বিধান আছে। তাই এই সামাজিক রোগকে নির্মূল করতে সবাই এগিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া তিনি পকসো আইন নিয়ে বলতে গিয়ে জানান – একজন শিশু পরিবারের পর সবচেয়ে বেশী সময় দেয় স্কুলে ও নিজেকে সবচেয়ে বেশী সুরক্ষিত জায়গা হিসাবে দেখে। কিন্তু কোন কোন সময় স্কুলে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে যা ভীষন লজ্জাজনক ও দুঃখজনক বটে। তাই অনুষ্ঠানে স্কুলের শিশুদের সুরক্ষায় একটি শপথ বাক্য পাঠ করে শুনানো হয় ।
এরপর বক্তৃতা রাখেন ওই স্কুলের অধ্যক্ষ রাজীব পাল, শিশু সুরক্ষা আধিকারিক দেবযানী দাস। তিনি শিশু সুরক্ষার উপর বক্তৃতার পাশাপাশি ধন্যবাদ সূচক বক্তৃতা দেন । অঙ্গনওয়াডি ওয়ার্কার, সেল্ফ হেল্প গ্রুপ, আশাকর্মী, পুলিশ আধিকারিক হিতেশ্বর কালীন , অ্যাসিস্ট্যান্ট বিডিও হুসেইন আহমেদ , ওই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রী সহ প্রায় ৩৫০ জন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচলনা করেন লোয়াইরপোয়া ক্লাস্টারের সুরজ কানু।