মৃত সদ্যোজাতের দেহে ফিরল প্রাণ, অবাক চিকিত্সকরাও
শিলচর, ৪ অক্টোবর : আশ্চর্যজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল শিলচর । যে সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন চিকিত্সকরা, শেষকৃত্যের সময় সেই শিশুর দেহেই ফির এল প্রাণ৷
নবজীবন পেল শিশুটি । একেই বোধ হয় বলে রাখে হরি তো মারে কে । বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে অসমের শিলচরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । ঘটনাটি জানাজানি হতেই সাড়া পরে গিয়েছে ওই এলাকায়, অবাক চিকিত্সকরাও । কোলের সন্তানের এই নবজন্মের খুশিতে আত্মহারা তার পরিবার ।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শিলচরের রতনপুর এলাকার এক প্রসূতি মহিলাকে ভরতি করা হয় এখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালে । মঙ্গলবার রাতে লাইফ লাইন নামের ওই নার্সিংহোমে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা । কিন্তু শিশুটি জন্মানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই ওই পরিবারের সদস্যদের চিকিত্সকরা জানান শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি, জন্মের কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়েছে । এই খবরে ভেঙে পড়েন সদ্যোজাতটির পরিবারের সদস্যরা । শেষকৃত্যের জন্য ওই সদ্যোজাতকে নিয়ে যাওয়া হয়৷
কিন্তু এর পরেই ঘটে চমত্কার । শিশুটির শেষকৃত্যের প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ, ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে কাঁদতে শুরু করে সে । এই ঘটনায় সেখানে উপস্থিত সকলেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান । দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে আবার সেই নার্সিংহোমে ফিরে যান পরিবারের সদস্যরা । জানা গিয়েছে বর্তমানে শিশুটি আইসিইউ’তে চিকিত্সাধীন ।
হাসপাতালের তরফে ডক্টর এএফ নুমান এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন । তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়েছিল ওই মহিলাকে । এর ৬ দিন পর এই নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় তাঁকে । মা ও সন্তান ২ জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল । শিশুটি প্রি-ম্যাচিওর বেবি বলে জানিয়েছেন তিনি । মাত্র ৬ মাস সে মায়ের গর্ভে ছিল । জন্মের সময় তার ওজন ছিল মাত্র ৫০০ গ্রাম । শিশুটির মধ্যে প্রাণের কোনও লক্ষণ না-থাকায় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । কিন্তু শিশুটির প্রাণ ফিরে পাওয়ার ঘটনায় এখন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও অবাক ।
