Barak Valley

ম্যালেরিয়া, জাপানিজ এনকেফালাইটিস এবং ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিভাগের

জনসংযোগ, করিমগঞ্জ : যেহেতু মশার প্রজনন মরশুম চলছে এবং ম্যালেরিয়া, জাপানিজ এনকেফালাইটিস বা জেই এবং ডেঙ্গুর মতো মশা বাহিত রোগ ছড়ানোর সুযোগ রয়েছে, তাই করিমগঞ্জের ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল সেল থেকে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। রোগের বিস্তার রোধে বিভাগ কর্তৃক একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় ফগিং অভিযান শুরু হয়েছে। জেলার গ্রামীণ এলাকায় কীটনাশক ডেল্টামেথ্রিন দিয়ে মশারি ঔষধিকরন করা হয়েছে । মশার প্রজনন উত্‍স হ্রাসের জন্য আশা, নজরদারি কর্মী এবং বহুমুখী কর্মীরা সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং ঘরে জমা জলের উত্‍স আছে কিনা তার খোঁজ নেন। এতে সামনের সারির স্বাস্থ্য কর্মীদের কঠোর নজরদারি রাখতে এবং প্রতিটি জ্বরের ক্ষেত্রে রক্তের স্লাইড সংগ্রহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রার্থনার সময় স্কুলগুলিতে সচেতনতা সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব অন্যান্য রাজ্য থেকে স্থানান্তরিত হয়, তাই আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ সম্পর্কে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। জ্বর নজরদারি সহ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় ভেক্টর নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে করিমগঞ্জ পৌরসভার সহযোগিতায় ওয়ার্ড কমিশনারদের তত্ত্বাবধানে করিমগঞ্জ শহরের সকল ওয়ার্ডে অ্যান্টি লার্ভাল স্প্রে করা হয়েছে।

পাশাপাশি, করিমগঞ্জ জেলা জুড়ে প্রচার ভ্যানের মাধ্যমে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। এদিকে শূকরের সিরাম নমুনাগুলি ভেটেরিনারি বিভাগের সহযোগিতায় সংগ্রহ করা হয়েছে এবং জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না তা জানার জন্য উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক রোগ নির্ণয়ক পরীক্ষাগার, গুয়াহাটিতে পাঠানো হয় এবং সমস্ত নমুনা নেগিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। এতে গত ৬ মাসে এনসিভিবিডিসি বিভাগ দ্বারা পরিচালিত মোট জ্বর নজরদারি করা হয়েছে ৫৫৪৬৫ টি। মশারি ঔষধিকরণ করা হয়েছে মোট ১৮৯২৪ টি। গত ৬ মাসে ৪২৮টি সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬ মাসে ৫ টি রেলির আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৬ মাসে ১৩টি ম্যালেরিয়া মামলা, ৩টি জেই মামলা এবং ১টি ডেঙ্গু মামলা শনাক্ত করা হয়েছে এবং সবগুলো মামলায় রোগীদের সফলভাবে চিকিত্‍সা করে সুস্থ করে তোলা হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিছু কার্যসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে কীটনাশক (ডেল্টামেথ্রিন) দিয়ে মশারি ঔষধিকরনের সুবিধা সমস্ত এইচডব্লিউসি-তে পাওয়া যাবে। করিমগঞ্জ পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে ফগিং অভিযান পরিচালনা করা হবে। বদরপুর এবং রামকৃষ্ণ নগর শহরের শহুরে এলাকায় অ্যান্টি লার্ভাল স্প্রে করা হবে। জেই/ডেঙ্গুর জন্য জেলা সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। দ্রুত পরিষেবা নিশ্চিত করতে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে ডেঙ্গু/জেই/ম্যালেরিয়া রোগীদের গাইড করার জন্য একটি ডেডিকেটেড হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

এতে করিমগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জেলার সকল নাগরিককে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে জ্বর স্ক্রীনিং করার জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

Show More

Related Articles

Back to top button