মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়ে সম্পন্ন হল সর্বধর্ম সমন্বয় সভার ১০ বছরপূর্তি সম্মেলন, স্মরণিকা উন্মোচন

মিনহাজুল আলম তালুকদার : বিভিন্ন ধর্মীয় গুরু ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হল বরাক উপত্যকা সর্বধর্ম সমন্বয় সভার দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সর্বধর্মীয় সম্মেলন সঙ্গে ছিল গুণীজন সংবর্ধনা ও মনমাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংস্থার কেন্দ্রীয় সভাপতি হরেকৃষ্ণ গোস্বামীর পৌরহিত্যে ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আমির হোসেনের পরিচালনায় শুক্রবার শিলচর ওরিয়েন্টাল হাইস্কুলে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠানমালা।
উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সীমা পুরকায়স্থ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উত্তরীয় দিয়ে অতিথি বরণ করে বিশেষ সম্মানীয় কার্ড সহ একেকটা কভার ফাইল তাদের হাতে তুলে দেন সংস্থার পক্ষে সাহিদা ইয়াসমিন বড়ভূইয়া ও এম আব্দুল জলিল লস্কর। শান্তি-সম্প্রীতি, ঐক্য-মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব, সমন্বয় ও মানবতার উপরে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ধর্মীয় গুরুরা। শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী গুণাতীতানন্দজি মহারাজ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আগে মানবপ্রেম শিখতে হবে, তার পর ধর্ম। প্রকৃত ধর্মীয় মানুষের মধ্যে হিংসা থাকতে পারে না। বদরপুর বুদ্ধ শান্তি বিহারের মহারাজ কুশলায়ন ভিক্ষু বলেন, মানুষকে সেবা করা মানেই ঈশ্বরকে সেবা প্রদান করা। মানুষকে কষ্ট দিলে ঈশ্বর ক্ষমা করেন না। শিলচর জিসি কলেজের অধ্যাপক সমর্পণ নাথ বলেন, এই পৃথিবীতে মানবতার বাণী প্রচারের জন্য যুগে যুগে মহামানবদের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাঁরা তপস্যা করে সমাজকে সংস্কার করার চেষ্টা করেছিলেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ড: অরুণ ভট্টাচার্য, কাছাড় ক্যানসার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কল্যাণ কুমার চক্রবর্তী, প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক আলিম উদ্দিন মজুমদার, দক্ষিণ অসম অখণ্ড মণ্ডলীর উপ-সভাপতি নবেন্দু নাথ, শিলচর উইমেন্স কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড: মনোজ কুমার পাল, গোলাম মুমিত চৌধুরী, বরাক উপত্যকা সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি হারাণ দে, জৈন সংঘের কর্তা বিজয় কুমার সাণ্ড, আদিমা মজুমদার, শ্যামল প্রসাদ চৌধুরী, গীতা পাণ্ডে শর্মা, জ্যোৎস্না পাল, সঞ্জীব রায়, সব্যসাচী রুদ্র গুপ্ত, সাহিদা ইয়াসমিন বড়ভূইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরাক এরিয়া প্রেসবিটেরিয়ান চার্চ অ্যাণ্ড মিশনের রেভারেন্ড সূর্য কুমার সিংহ, মাওলানা হিলাল আরশদ, তাহেরা লস্কর, জয়া সিনহা, আব্দুর রহমান লস্কর, শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী, মিনাক্ষী শর্মা, হুমায়ূন আজাদ লস্কর, কৃষ্ণ কংস বণিক, সন্তোষ দেবনাথ, হাফিজ ইফতিকার আহমেদ, ইব্রাহিম আহমেদ বড়ভূইয়া, উৎপল দেব রায় প্রমুখ। দশ বছরপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ স্মরণিকা উন্মোচিত হয় অতিথিদের হাত ধরে।
এদিন কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল, সুন্দরী মোহন সেবা সদন, লায়ন্স ক্লাব অব লালা, হৃদয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা, শিবম ও রূপম সাংস্কৃতিক সংস্থা, ডিজায়ার ফোর লাইফ রিসার্চ ট্রেইনিং অ্যাণ্ড ডেভেলাপমেন্ট সোসাইটি, শ্রী সাধুমারগী জৈন সংঘ, খোঁজ, ইয়াসি ও বরাক ভ্যালী ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় সর্বধর্ম সমন্বয় সভার পক্ষ থেকে। শিশু শিল্পী সাহিল উদ্দিনের কণ্ঠে মানুষ মানুষের জন্য সঙ্গীত পরিবেশনের পর সম্মেলনের সমাপ্তি হয়।
===================
সংর