Barak Valley

শক্তির আরাধনায় করিমগঞ্জের নবজাগরণ ক্লাব

করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জে জোরকদমে শুরু হয়েছে শ্যামা আরাধনার প্রস্তুতি । দুর্গাপুজোর মতো এখানেও থিম, আলোকসজ্জা, প্রতিমার অভিনবত্বে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে । করিমগঞ্জে জাঁকজমকপূর্ণ কালীপুজো বেশ কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

প্রতি বছরই পূজার পরের চার পাঁচদিন শহর সহ গ্রামাঞ্চলের বহু দর্শনার্থী ভিড় জমান শ্যামা মায়ের আরাধনা দেখতে । শ্যামাপুজোর জৌলুস চোখ ধাঁধিয়ে দেয় দর্শনার্থীদের। বিগ বাজেটের কয়েকটি কালীপুজো হয় জেলা সদরে। ভিড় টানায় একে অপরকে টেক্কা দিতে চলে ঠান্ডা লড়াই। এবারও মণ্ডপ থেকে থিমভাবনা, প্রতিমা থেকে আলোকসজ্জা-সবেতেই চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি বিভিন্ন ক্লাব । হাতে সময় খুব বেশি নেই। তাই জোরকদমে চলছে মণ্ডপ ও প্রতিমার শেষ পর্যায়ের কাজ। আকর্ষণীয় থিম নিয়ে দর্শকদের মন জয় করার চেষ্টা করছে সদরের বিভিন্ন পুজো কমিটি ।

মহাশক্তির আরাধনায় বিগত কয়েক বছরে জেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে নবজাগরণ ক্লাব । এবার তাদের পুজো ৬০তম বর্ষে পদার্পণ করছে। গত বছর তাদের তৈরি কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরে ভিড় উপচে পড়েছিল দর্শনার্থীদের। এই ভাবনা থেকেই এবারে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছেন উদ্যোক্তারা । প্রায় ৭০ ফুট চওড়া এবং ৬০ ফুট উচ্চ মণ্ডপের জন্য রয়েছে ১২ ফুট উচ্চতার কালীপ্রতিমা তৈরি হচ্ছে । সেই সঙ্গে নজর কাড়বে অত্যাধুনিক আলোকসজ্জা । এবার এই পুজোর বাজেট ১২ লক্ষ টাকা ।

এবারের নবজাগরণ ক্লাবের সুউচ্চ মন্ডপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের ঊষা ডেকোরেটার্সকে । স্বত্বাধিকারিকারী জগন্নাথ দেব সহ তার কারীগরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন । আলোকসজ্জায় রয়েছেন নবদ্বীপের শিল্পী অসীম মন্ডল । পুজো কমিটির সভাপতি মুকেশ কুমার সিং, কার্যকরী সভাপতি প্রবাল চন্দ্র সাহা ও দীপক দাস, সম্পাদক আশীষজ্যোতি ধর, যুগ্ম-সম্পাদক রাজীব রায় ও অভিজিত্‍ বণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক বীজন দাস, সৌরভ পাল, সৌরভ দেব, সন্দীপ নন্দী, সুপ্রিয় দাস, অসীম দেব, গণেশ পাল, কোষাধ্যক্ষ কৌশিক রঞ্জন দেব ।

পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মন্ডপ।ফলে এবারও দর্শনার্থীদের ভিড় হবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, তিনদিন প্রসাদ বিতরণ করা হবে । পুজোয় থাকছে বিভিন্ন স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক বিচিত্রানুষ্ঠান সহ এলাকার দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ । মঙ্গলবার আয়োজকরা জানান, প্রতিবারের মতো এবারে তারা শহরবাসীকে নতুন কিছু উপহার দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন । চমক দিতে এই মুহূর্তে সবকিছু খোলসা করতে চাইছেন না । তাঁদের আশা, দর্শকদের চোখ ধাঁধানো মন্ডপ উপহার দেওয়া হবে এবারে । তাঁরা বলেন, পুলিশ প্রশাসন সহ প্রায় ৫০ জনের ওপর ক্লাবের ভলেন্টিয়ার থাকবে । ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা সন্দীপ নন্দী বলেন, থিমে নতুনত্ব সহ এবার যেকরম আলোকসজ্জা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা দর্শনার্থীদের খুব ভালো লাগবে বলেই বিশ্বাস। থাকবে বিশেষ সাউন্ড এফেক্ট সহ সঙ্গীত । যা ৮ থেকে ৮০ প্রত্যেক দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে । সবমিলিয়ে এবার নবজাগরণ সংঘের পুজো দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস।

Show More

Related Articles

Back to top button