সড়ক সংস্কার চেয়ে জেলা আয়ুক্তকে স্মারকপত্র বেতাইলবাসীর

করিমগঞ্জ : স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরও উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত করিমগঞ্জ শহ সংলগ্ন বেতাইল গ্রাম৷ এমনকি বেহাল পথের জন্য গ্রামের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন৷ নিত্য অফিস যাত্রী থেকে স্কুল-পড়ুয়ারা যেমন প্রতিদিন হেনস্থার শিকার হচ্ছেন৷ তেমনি অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যেতেও দুর্ভোগে পড়ছেন বেতাইল এলাকার মানুষ৷ রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার জেলা আয়ুক্তের দ্বারস্থ হল বেতাইল গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কর্মকর্তারা৷
বেতাইল গ্রামের প্রধান সড়কটিকে অতিসত্বর গুরুত্ব সহকারে নির্মাণ করা এবং সরকারি মানচিত্র অনুসারেই রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা সহ অন্যান্য দাবিতে জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদবের হাতে লিখিত স্মারকপত্র তুলে দেওয়া হয়৷
বেতাইল গ্রাম উন্নয়ন কমিটির তরফে কল্লোল চৌধুরী, প্রসেনজিৎ রায়, জায়দীপ দাস, সুকান্ত বিশ্বাস, শঙ্কু চন্দ্র দাস, নাইম উদ্দিন, বিজয় তালুকদার, অমিত রায়, দীপ দাস সহ অন্যরা জেলা আয়ুক্তের সঙ্গে সাক্ষাত করে বিস্তারিত তুলে ধরেন৷ বনমালী-বেতাইল অঞ্চলের প্রধান সড়কের বেহাল দুর্দশাগ্রস্ত পরিস্থিতির জন্য প্রতিদিন যাতায়াতকারীদের নাভিশ্বাস উঠছে বলে তারা জানান৷ বলেন, গ্রামের যাতায়াতের জন্য একটি মাত্র সড়ক পথ রয়েছে, আর এই পথটি গোটা অঞ্চলের প্রধান সড়ক৷ বনমালী রোডের শেষপ্রান্ত থেকে পথটি পূর্ত সড়কের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে৷
পথের দৈঘ্য হবে আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার৷ সড়কটির পাশেই রয়েছে নটিখাল৷ আর সেই নটিখালে তলিয়ে যাচ্ছে সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ৷ গত ২০২২ সালের বন্যার কবলে পড়ে বেতাইল গ্রাম৷ বন্যার ফলে পথের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে৷ বন্যা পরবর্তী সময়ে রাস্তাটির কোন মেরামত হয়নি বলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন কমিটির পদাধিকারীরা৷ ফলস্বরূপ গ্রামের জনগণ অত্যন্ত দুর্ভোগ সহ্য করেই বেহাল পথ দিয়ে চলাচল করছেন৷ সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে৷
স্বাধীনতার ৭৭ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও বেতাইল অঞ্চলের কোন উন্নয়ন হয়নি বলে তারা জানান৷ শীঘ্র পথটি সংস্কারে জেলা আয়ুক্তের সক্রিয়তা কামনা করেন বেতাইল গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কর্মকর্তারা৷