সামাজিক মাধ্যমের সমস্যা সমাধানের নামে প্রতারণার অভিযোগ, আটক যুবক
করিমগঞ্জ : আপনার কি facebook account আছে? Reach down হয়ে গেছে? কিংবা অন্য কোনও সমস্যায় ভুগছেন? ভাববেন না দেবজ্যোতি সুজন দেবরায় ঘনিষ্ঠ শ্যামল রায় সব সমাধান করে দেবে৷ প্রচারটা এতদিন এরকমই ছিল৷ আর তাকে promote বা recomend করেছিলেন সমাজসেবী নামে খ্যাত খোদ দেবজ্যোতি সুজন দেবরায় নিজেই৷ Facebook সমস্যার সমাধান করা ট্যাকনেশিয়ান শ্যামল রায় এদিন সকাল ৬টা থেকে করিমগঞ্জ সদর থানায় লকআপে আটক ছিলেন৷ অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ তাকে আটক করে বলে সূত্রের খবর৷
সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন অনেকেই৷ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়বস্ত উপস্থাপন করে বৈধপথে টাকা রোজগার করছেন অনেকেই৷ তবে এই কাজে কারও কারও হচ্ছে সমস্যা৷ Reach Down হচ্ছে৷ আসছে না advertisement. পাচ্ছেন না টাকা৷ এরকম সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বরাক উপত্যকার বেশ কয়েকজন বিভিন্ন ভাবে করিমগঞ্জে থাকা সুজন ঘনিষ্ঠ জনৈক শ্যামল রায়ে সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ তিনি নাকি সামাজিক মাধ্যমের সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেন৷ শিলচরের কয়েকজন Content Creator তাদের Page-র সমস্যা নিয়ে কথা বলেন৷ পর্যায়ক্রমে দিতে হতো টাকা৷ কিন্তু অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়নি৷ বরং Reach Down হয়ে চলেছে৷ Facebook Page-এ কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হতো Password. অভিযোগ Password নিয়ে শ্যামল রায় বাঁকাপথে সেই Page গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে৷ শিলচরের Phenwa এবং Love bite Cafe & absolute salon-র স্বত্তাধিকারী Tupshi Nath অভিযোগ করে বলেন, বারবার বলার পরও সমস্যার সমাধান করা হয়নি৷ এমনকি Password বদলালেও জানায়নি শ্যামল রায়৷ বাধ্য হয় শিলচরের Tupshi Nath এদিন ভোর ৩টে করিমগঞ্জ পুলিশের দ্বারস্থ হন৷
শুক্রবার বেলা ৬টা নাগাদ করিমগঞ্জ পুলিশ রমণী রোডস্থ সমাজকর্মী তথা Content Creator দেবজ্যোতি সুজন দেবরায়ের বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে শ্যামলকে আটক করে৷ করিমগঞ্জ সদর থানায় আটকে রেখে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়৷ সেই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, কীভাবে তারা সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ৷ Facebook, YouTube, Instagram কিংবা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম পরিচালনা করার জন্য শ্যামল রায় কিংবা তাদের সঙ্গীদের কোনও বৈধ অনুমতি পত্র রয়েছে কি না, তাও যাচাই করার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ তবে রাত ৯টা/১০:৫০ নাগাদ তাকে লকআপ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর৷ তবে বিভিন্ন জনের অভিযোগ, একটি বড়সড় চক্র মাধ্যমে এই কাজ চালিয়ে যাওয়া হতো৷ পুলিশ ভালো করে তদন্ত করলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে৷ করিমগঞ্জ পুলিশ তাকে আটক করলেও শিলচর পুলিশ ফের তাকে আটক করতে পারে৷ কারণ অভিযোগকারীর বাড়ি শিলচর৷
বি.দ্র.:- সংবাদের বিষয়ে সংবাদ দাতা ও News Company কোন ধরনের দায়বদ্ধতা স্বীকার করে না৷ সুতরাং পাঠক ও জনতার মতামত নিজস্ব৷ কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সংবাদ দাতা ও News Company কোনও ভাবেই দায়ী নয়৷