হাতিখিরা চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি
পাথারকান্দি : দীর্ঘ টানাপোড়েন, আন্দোলন, ঘাত-প্রতিঘাতের পর অবশেষে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বেসরকারি হাতিখিরা চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বেড়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট বাগান শ্রমিকরা পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, আসাম টি কর্পোরেশন (এটিসি)-এর চেয়ারম্যান রাজদীপ গোয়ালা এবং বাগান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মূলত পাথারকান্দির বিধায়ক এবং এটিসি চেয়ারম্যান রাজদীপ গোয়ালার মধ্যস্থতায় এই অসাধ্য সাধন হয়েছে বলে দাবি করছেন বাগানের শ্রমিককুল। এখন থেকে নিয়মিত শ্রমিকরা প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসাবে ১৭৫ টাকা করে মজুরি পাবেন। আগে ওই বাগান শ্রমিকদের দৈনিক হাজিরা ছিল ১৫০ টাকা। স্বল্পহারের মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল চরমে।
এ নিয়ে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল সংঘাত। অবশেষে বিষয়টির ওপর হস্তক্ষেপ করেন বাগান পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিতে শ্রমিকদের পক্ষে পরিবার প্রতিপালন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল। মাস-দুয়েক আগে তিন দিবসীয় আন্দোলন করেছিলেন শ্রমিকরা। পরে বিধায়ক এ নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে টি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাজদীপ গোয়ালাও তদ্বির চালান। শেষ পর্যন্ত বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে দৈনিক হাজিরা বর্ধিত করায় খুশির জোয়ার বইছে।
আজ শনিবার হাতিখিরা বাগানে এক সভা ডেকে এ বিষয়ে শ্রমিকদের অবগত করান বাগান পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর তেলি, গণেশ রবিদাস, রামনারায়ণ রবিদাস, জগদীশ সত্নামী, লোয়াইরপোয়া আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি শ্যাম আকুড়া, হাতিখিরা জিপি সভাপতি গোলাপচাঁদ কানু, চন্দন কালোয়ার, বিন্ধ্যাচল কানু প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত চা শ্রমিক সহ বিভিন্ন প্রতিনিধিরা বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও এটিসি চেয়ারম্যান রাজদীপ গোয়ালা এবং অন্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।