বাঘন জিপি সভাপতি উপনির্বাচনে বিজয়ী শিপ্রা

পাথারকান্দি : করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকাধীন বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েত (জিপি)-এর সভাপতি পদে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বাজিমাত করলেন বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী শিপ্রারানি কৈরি।
তিনি তাঁর নিকটতম নির্দল প্রার্থী কামরান পাশাকে এক হাজার ১৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আজ সোমবার করিমগঞ্জ শহরে অবস্থিত ফ্রন্টিয়ার জুনিয়র কলেজে ভোট গণনা সম্পন্ন হয়। দুপু্রের মধ্যে ব্যালট পেপার গণনা শেষ হয়ে যায়। চূড়ান্ত রাউন্ডের ভোট গণনা সম্পন্ন হলে শিপ্রা কৈরি লাভ করেন তিন হাজার ৮৮৫টি ভোট। নিকটতম নির্দল প্রার্থী কামরান পাশা পেয়েছেন দুই হাজার ৮৬৬টি ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল সহিদ পেয়েছেন ৭৫৪টি ভোট। আম আদমি পার্টি সমর্থিত প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন মাত্র ৪৫টি ভোট। বাতিল হয়েছে ৩৫৫টি ভোট।
সরকারিভাবে শিপ্রা কৈরিকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করার পর ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে বিজয়ধ্বনি দিয়ে বাইরে নিয়ে আসেন কর্মী-সমর্থকরা। তারা বিজেপি সহ পাথারকান্দির বিধায়কের নামে জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়ে উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করতে থাকেন। পরে প্রার্থী শিপ্রা কৈরি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, জিপির জনগণ, বিজেপির কর্মী-সমর্থক এবং বিধায়কের সহায়তায় তিনি বিজয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে নতুন আঙ্গিকে জিপির উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে বিজয়ী প্রার্থী শিপ্রা কৈরিকে নিয়ে নিজ জিপির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন কর্মী-সমর্থকরা। জানা গেছে, তিনি নিজ জিপিতে পৌঁছানোর পথে তাঁকে স্থানে জমকালো সংবর্ধনা দেন কর্মী-সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বাঘন জিপিতে সভাপতি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। বিগত দিনে ওই জিপিতে অনাস্থায় সভাপতি পদ হারিয়েছিলেন কামরান পাশা। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে ফের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থী-সমর্থিত কোনও একজন প্রতিপক্ষের এক সমর্থকের বাড়ির সামনে বাজি পুড়িয়ে দেওয়ায় হিংসা ছড়ায় বাঘনে। পরে পুলিশ মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।