Barak Valley

করিমগঞ্জ জেলায় মাছ ধরার ক্ষেত্রে ১৪৪ ধারার অধীনে কিছু বিধিনিষেধ জারি

জনসংযোগ, করিমগঞ্জ, ১৭ এপ্রিল : করিমগঞ্জের জেলাশাসক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে এক আদেশ জারি করে করিমগঞ্জ জেলায় গত ১ এপ্রিল থেকে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত মাছের প্রজনন ঋতুতে মাছ ধরায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।

এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলশাসক বলেছেন, ওই সময়সীমায় প্রাকৃতিক জলাশয়ে যখন মাছের প্রজনন ঋতুতে মাছে ডিম সৃষ্টি হয় এবং বংশ বিস্তার করে তখন মাছ ধরার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

যাতে মাছের বংশ বিস্তার হয় এবং জেলায় মাছের চাহিদা পূরণ করা যায়। তাই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে জারি করা এই আদেশ অনুসারে বারজাল, মহাজাল অথবা ফাঁস জাল, কোনও ধরনের নেট যার আকার ৭ সেন্টিমিটার বার অথবা ১৪ সেন্টিমিটার মেস থেকে কম মাপের জাল যে কোনও ফিশারিতে ১ এপ্রিল থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত মধ্যে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পাশাপাশি ১ সেন্টিমিটার বার ও দুই সেন্টিমিটার মেস থেকে কম আকারের মশারি জাল দিয়ে সারা বছর যে কোনও ফিশারিতে মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে ডিম এবং শুক্রাণু বহনকারী রুই, কাতলা, মৃগেল, মালি (কালবাসু), চিতল, খারিয়া, পিথিয়া (মহাশোল), ঘারিয়া এবং কুরি বা ঘনিয়া ইত্যাদি প্রজাতির মাছ ১ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা যে কোনও ফিশারিতে ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমায় ২৩ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য থেকে কম আকারের রুই, কাতলা, মৃগেল, মালি, চিতল, খারিয়া, পিথিয়া ও ঘারিয়া ইত্যাদি প্রজাতির মাছ এবং ১০ সেন্টিমিটার থেকে কম দৈর্ঘ্যের মালি (কালবাসু), ঘনিয়া, কুরহিল, বাগুম ইত্যাদি প্রজাতির মাছ যে কোনও পদ্ধতিতে ধরা এবং খাওয়ার উদ্দেশ্যে বিক্রি করতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে।

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনও প্রজাতির ছোট আকারের মাছ যদি জালে ধরা পড়ে তবে তাকে ওই ফিশারিতে ছেড়ে দিতে হবে অথবা ফিশারি বিভাগের লেসির মাধ্যমে জীবিত অবস্থায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরবরাহ করতে হবে।

জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ তাত্‍ক্ষণিকভাবে সমগ্র জেলায় বলবত্‍ হয়েছে এবং পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।

Show More

Related Articles

Back to top button