Barak Valley

করিমগঞ্জের ৪৮৯ বন্যাপীড়িত পরিবারকে ত্রাণ রামকৃষ্ণ মিশনের

করিমগঞ্জ : এক সপ্তাহ সময় কেটে গেলেও করিমগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনও পরিবর্তন নেই৷ এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শহরের মানুষ৷ জমা জল সহ বন্যার জলের কারণে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই৷ অতীতের সব রেকর্ড যেন পিছনে ফেলে দিয়েছে এবারের ২য় দফার ভয়াবহ বন্যা৷ শহরের সবকটি সরকারি সহ বেসরকারি স্কুলে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ তবে মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মসংঘটন৷ তারমধ্যে অন্যতম করিমগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশন৷

কোভিডকালে মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছিল করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন৷ গোটা উত্তর-পূর্বের মিশনের মধ্যে ১ম স্থান দখল করার পাশাপাশি জেলা প্রশাসন সহ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছিল করিমগঞ্জের আশ্রমকে৷

এবারে সেই একইভাবে সামাজিকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অধ্যক্ষ প্রভাসানন্দজি মহারাজ৷ শনিবার আশ্রমে ডেকে শ্রীনগর কলোনি, পাথারকান্দি রোড, পুষ্প লেন, রেলওয়ে কলোনি, সুভাষনগর, বনমালী সহ বেতাইলের ৪৮৯ জন বানভাসির মধ্যে চাল ৩ কেজি, ডাল ১ কেজি, আলু ২ কেজি, তেল ৫০০ গ্রাম, সয়াবিন ৩০০ গ্রাম, নবণ ও বিস্কুট ১ প্যাকেট, সাবান ২ প্যাকেট করে তোলে দেন আশ্রমের সন্ন্যাসীরা৷

অধ্যক্ষ প্রভাসানন্দজি মহারাজ বলেন, জেলা জুড়ে এই কর্মসূচি চলবে৷ দুর্গত এলাকায় গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা তালিকা প্রস্তুত করার পর ত্রাণ বিতরণ করা হয়৷ শহরের পার্শ্ববর্তীদের আশ্রমে ডেকে এবং দূরে হলে আশ্রম কর্তৃপক্ষ সেখানে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করে থাকে৷ মহারাজ বলেন, এখন অবধি কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও এর কোনও নির্দিষ্ট দিন বা তারিখ নেই৷ যতদিন অবধি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় মানুষের প্রয়োজনে আশ্রম কর্তৃপক্ষ মানুষের পাশে থাকবে৷

Show More

Related Articles

Back to top button