করিমগঞ্জে কবি সুকান্তের মূর্তি ভাঙচুরের প্রতিবাদ

করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলির একমাত্র বিনোদনের জায়গা করিমগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগার ও প্রেক্ষাগৃহ৷ বিগত মাস কয়েক থেকে রাতের অন্ধকারে জেলা গ্রন্থাগার সংলগ্ন এলাকা অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ মদ ও নানা নেশার ঘাঁটি তৈরি করেছে সমাজ বিরোধীরা৷ ফলে জেলা গ্রন্থাগার চত্বরে থাকা মহিষীদের মূর্তিগুলি আজ চরম সংকটে৷
দুষ্কৃতীদের অপব্যবহারের ক্রমাগত ধুলোয় মিশে যাচ্ছে জেলা গ্রন্থাগার ও প্রেক্ষাগৃহ৷ শনিবার বরাক উপত্যকা মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতির কার্যকর্তারা চত্বরে কবি সুকান্তের মূর্তিতে মাল্যদান করতে এলে মর্মর মূর্তির এই অবস্থা দেখে অনুষ্ঠান না করে বিষন্ন মনে অনুষ্ঠান না করে ফিরে যান৷
তারা দেখতে পান কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মর্মর মূর্তির পশ্চাৎ দেশ চৌকো করে কাটা৷ বেদী মূলের টাইলস গুলোও ভাঙচুর৷ তাছাড়া বিদ্যাসাগর ও রবীন্দ্র মূর্তির বেদীমূলও অপরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্য নষ্ট করে রাখা হয়েছে৷
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতম চৌধুরী, নির্মাল্য দাস সহ অন্যরা৷ তারা সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানান৷
তাদের দাবি, দুস্কৃতীকারীদের অসৎ কার্যের ফলে দিনকে দিন মাটিতে মিশে যাচ্ছে জেলা গ্রন্থাগার ও প্রেক্ষাগৃহ৷ তারা বলেন, জেলা গ্রন্থাগারের সৌন্দর্যায়নে চত্বরে ৩টি সংস্থা মিলে ৪ মনিষীর মূর্তি বসান৷ মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি সবার প্রতি একজোট হয়ে এর প্রতিবাদের আহ্বান জানান৷