রাজ্যের গাঁজা আটক আসাম পুলিশের হাতে

আগরতলা : পুলিশকে বিভিন্ন কৌশলে ম্যানেজ করে বহু না কাপ পয়েন্ট দিয়ে আসাম প্রবেশ করে আটক হয় আগরতলা থেকে উত্তর প্রদেশগামী বাঁশ বুঝাই লরি। গাড়ি চালককে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে আসাম পুলিশ।
জানা যায়, রবিবার সকালে ফের বাজারিছড়ার চুরাইবাড়িতে ধরা পড়ল প্রায় দেড় কোটি টাকার গাঁজা। আটক হয় গাড়ি চালক।
এ বিষয়ে চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্ট পুলিশ জানায় এদিন সকালে ত্রিপুরা সীমান্ত টপকে একটি দশ চাকার বাঁশ বোজাই লরি অসমের চুরাইবাড়িতে পৌছালে গাড়িটিতে যথারীতি তল্লাশি করে কর্তব্যরত পুলিশ। এতে বাঁশের নিচ থেকে এক হাজার ৪২০ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়। যার মুল্য প্রায় দেড় কোটি টাকার মত হবে।
এ কান্ডে গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। তার নাম দীপক কুমার। পুলিশের প্রাথমিক জেরায় ধৃত চালক জানায় যে সে মোটা টাকার বিনিময়ে গাঁজাগুলো আগরতলার শালবাগান এলাকা থেকে সংগ্রহ করে উত্তরপ্রদেশের বেরালিতে নিয়ে যাবার কথা ছিল।
এ কান্ডের নেপথ্যে বেশকজন রাঘব বোয়াল জড়িত থাকারও খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ তাদের ধরতে সবদিকে জাল বিছিয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলাও হাতে নিয়েছে পুলিশ। আটক মোটর চালককে বর্তমানে বাজারিছড়া থানায় আটকে রেখে টানা জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় সড়কের পাশে অধিকাংশ থানা অবস্থিত হওয়ার পরেও কিভাবে নাকা পয়েন্ট দিয়ে রাজ্যের সীমান্ত অতিক্রম করল লরি চালক। তবে এবার রাজ্য পুলিশে একাংশ থানা বাবুদের হুবুচন্দ্র গিরি দেখে জনমনে অবশ্যই দাঁনা বাধতে শুরু করেছে। কিভাবে ম্যানেজ করছেন সেসব বাবুরা। আগরতলা থেকে চোরাইবাড়ি পর্যন্ত এতগুলি নাকা পয়েন্ট থাকার পরেও কিভাবে আটক হয়নি গাড়িতে। নাকি এর পেছনে কোন লেনদেন রয়েছে সেটাও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তথ্য অভিজ্ঞ মহলের মধ্যে।