গৃহবধূর লাশ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য করিমগঞ্জের লাতুতে

লাতু, ১৪ এপ্রিল : জনৈক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে উত্তর করিমগঞ্জের লাতুতে। ঘটনাটি হত্যা না-আত্মহত্যা, উঠেছে প্রশ্ন। তবে মৃতার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাদের মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার রূপ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার বিকাল চারটা নাগাদ করিমগঞ্জ সদর থানাধীন লাতু এলাকায়। মৃতার নাম রুবিনা বেগম (২২)। ঘটনার পর থেকে ফেরার স্বামী সালেহ আহমেদ। রুবিনার নিকটাত্মীয়দের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়ে রুবিনাকে। এর পর ঘাতক স্বামী আত্মহত্যা রূপ দিতে গিয়ে গলায় দড়ি বেঁধে নিজেই ঝুলিয়ে রেখেছে।
জানা গেছে, ধর্মীয় রীতি মেনে গত তিন বছর আগে উত্তর করিমগঞ্জের শেরুলভাগ গ্রামের জনৈক আব্দুল খালিকের কন্যা রুবিনার বিয়ে হয় উত্তর করিমগঞ্জের লাতু এলাকার জনৈক সিরাজ আহমেদের পুত্র সালেহ আহমেদের সঙ্গে। বেশ কয়েকদিন থেকে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক ভালো কাটছিল না। একাধিকবার গ্রামীণ সালিশি সভায় পারিবারিক কোন্দলের মীমাংসাও হয়েছে।
মৃত রুবিনার এক কাকা জানান, আজ বিকালে তাদেরকে ফোন করে ঘটনাটি জানায় সালেহ নিজে। এর পর থেকে সে নিজেই পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে ছুটে যায় লাতু পিএইসিপির সেকেন্ড লাইন ডিফেন্স-এর পুলিশ। এর পর খবর দেওয়া হয় করিমগঞ্জ সদর থানায়। প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে করিমগঞ্জ অসামরিক হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনায় কোনও গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।