গৌতম চক্রবর্তী স্মরণ শ্রীভূমি শহরে

শ্রীভূমি। ২৩ অগস্ট : এক নক্ষত্রকে হারাল শ্রীভূমির সংস্কৃতি প্রেমীরা। শিল্প-সংস্কৃতি জগতের এক ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে আজ সবাই শোকাহত। যন্ত্রের প্রতিটি শব্দে তাঁকে সবাই স্মরণ করবে। শিল্পী গৌতম চক্রবর্তীর শোকসভায় তাঁকে স্মরণ করে এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট যন্ত্র শিল্পী রঞ্জিত দেব ভানু।
শনিবার শম্ভুসাগর উদ্যানের জাতীয় শহিদ বেদি প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণ সভায় শ্রীভূমি শহরের অগণিত মানুষের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্বলন করে ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্পী কল্লোল মোহন্ত বলেন, প্রতিদিন ছেলেকে নিয়ে স্কুলে আসতেন। তাঁর মুখে এক গাল হাসি ভুলতে পারছি না। তাঁর এই মিষ্টি হাসি সবাইকে আপন করে নিত। বলেন, প্রায়ই গানের চর্চায় যেতে হয় তাঁর বাড়িতে। সেখানে গানের সঙ্গে নানা প্রসঙ্গে আলোচনা হতো। তবে বেশিরভাগই শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। তারমত একজন প্রতিভাবান শিল্পীকে এভাবে হারাবো যে, ভাবতে গেলে কেমন লাগে। তিনি সবার কাছে আবেদন জানান, প্রয়াত গৌতমকে হারিয়ে পরিবার আজ দিশাহারা। তাঁর পরিবারের প্রতি সবার সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। সবসময় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, যাতে তাঁকে হারানোর কষ্ট পরিবারের লোকজন অনুভব না করে।
শিল্পী নীলনকান্তি দাস বলেন, প্রয়াত গৌতমকে দেখেছি, খুবই কর্মচঞ্চল। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের বিগত অধিবেশনে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে নিজের যে প্রতিভা দেখিয়েছেন, তা কখনও ভুলতে পারবো না। অধিবেশনে ৪টি মঞ্চ ছিল। এক মঞ্চ থেকে অন্য মঞ্চে গিয়ে শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গত দিয়েছেন গৌতম। তরুণ শিল্পী জয়ানন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের সঙ্গে গত দু’বছর থেকে ওতপ্রতোভাবে জড়িত। তিনি আমাদের বড় ভাই। এক কথায়, আমাদের পথ প্রদর্শক।
এদিন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিল্প-সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তি ছাড়াও জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, পাপ্পু কুরি সহ অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অগস্ট বাইক-স্কুটি সংঘর্ষে আহত হয়ে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ অগস্ট পরপারে পাড়ি দেন শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী।