ছাত্রীর যৌন নির্যাতন : ভাঙ্গা এইচএস স্কুলের সদ্য বরখাস্ত অধ্যক্ষ আসার উদ্দিনকে গ্রেফতারের দাবিতে করিমগঞ্জে উত্তাল আন্দোলন এবিভিপি-র

করিমগঞ্জ, ২৭ মে : নাবালিকা ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযু্ক্ত করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ভাঙ্গা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের সদ্য বরখাস্ত অধ্যক্ষ আসার উদ্দিনকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল আন্দোলন সংগঠিত করছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)।
নিজের স্কুলের নাবালিকা ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযু্ক্ত সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ আসার উদ্দিনকে গ্রেফতারের দাবিতে করিমগঞ্জে ধরনা-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবার ফের সরগরম হয়ে উঠেছে জেলা সদর শহর করিমগঞ্জ। প্রতিবাদ সাব্যস্ত করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হতে হয়েছে দুই ছাত্র নেতাকে।
এদিন দুপুরে করিমগঞ্জ কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ গড়ে তুলে ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। হাতে হাতে প্ল্যা-কার্ড নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগানে আন্দোলনকারীরা এলাকার পরিবেশ উত্তাল করে তুলেন। ঘটনার দশ দিন অতিবাহিত হলেও কেন মুক্ত আকাশের নীচে অভিযুক্ত শিক্ষক? পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা-ই বা-কী, কী কারণে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না? ইত্যাদি বহু প্রশ্ন তুলে সড়ক অবরোধ করে এলাকা সরগরম করে তুলেন ছাত্র সংগঠনের নেতা-সদস্যরা।
এদিকে করিমগঞ্জ কলেজের সামনে হঠাত্ করে ছাত্র নেতারা অবরোধ গড়ে তোলায় শহর জুড়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সদর থানার পুলিশ কর্মীরা। ছাত্র নেতাদের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের উষ্ণ বাক্য বিনিময়ের দরুন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল, পুলিশ সুপারকে স্মারকপত্র প্রদান করা হয়েছে। এর পরও কেন আসামি পলাতক? এ ধরনের নানা প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি পুলিশ অফিসাররা।
শেষে সদর ওসি ভবেশ দিহিঙ্গিয়ার হস্তক্ষেপে ঘণ্টা-খানেক পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তাঁদের ভরসা রয়েছে। তাই তাঁরা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। তবে শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হলে ব্যাপক তীব্র হবে তাঁদের আন্দোলন।
এদিকে ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করার পর সদর ডিএসপি ছুটে এসে দুই ছাত্র নেতা রোহিত দাস এবং সম্রাট দাস পুরকায়স্থকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তবে আধঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিভিপির অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছেন খোদ সদর ডিএসপি। দুজনকে আটক করে নিয়ে গেলে চাপে পড়ে তাঁদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। তাঁরা বলেন, আসামিকে ধরতে ব্যর্থ প্রশাসন, আর প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবাদকারীদের পুলিশ আটক করে। এ কেমন প্রশাসন?