Barak Valley

বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটার করিমগঞ্জ সফর

জনসংযোগ, করিমগঞ্জ, ৯ জুলাই : করিমগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্র সরকারের বিদেশ ও বস্ত্র বিভাগের প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা মঙ্গলবার করিমগঞ্জ জেলা সফর করলেন।

করিমগঞ্জ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের খোঁজ নিতে মঙ্গলবার করিমগঞ্জে এসে মন্ত্রী করিমগঞ্জ শহরের লঙ্গাইরোডস্থিত ডিআইসিসি কার্যালয়ের ত্রাণ শিবির ও নীলমণি স্কুলের ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। এতে তিনি বন্যার্তদের সাথে কথা বলে ত্রাণ সামগ্রী, শিশু আহার, পানীয় জল, চিকিৎসা সুবিধা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

তারপর মন্ত্রী জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় প্রধানদের সাথে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে করিমগঞ্জের সাংসদ কৃ্পানাথ মালাহ, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলক্ষ দে পুরকায়স্থ, রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার, পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দিক আহমেদ, লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই, এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস, করিমগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্র চন্দ্র দেব, বিজেপি জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য প্রমূখ অংশগ্রহণ করেন।

সভায় পৌরোহিত্য করে করিমগঞ্জের জেলা আয়ক্ত মৃদুল যাদব পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি, ক্ষয়ক্ষতি এবং ত্রাণ বন্টন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তৃত বিবরণ তুলে ধরেন। সভায় মন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পগুলির খোঁজ নেন, এতে তিনি বন্যায় প্লাবনের ফলে যেসব জল সরবরাহ প্রকল্প থেকে জল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না সেই এলাকার জনগণকে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে বিভাগকে নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি, তিনি বন্যার ফলে বিগত দিনগুলিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে অতিরিক্ত শিক্ষাদান করে তা পূরণ করতে পরামর্শ দেন। এতে তিনি বন্যায় ফিসারি বিভাগের ক্ষতির ভর্তুকি নিয়ে আলোচনা করেন।

পাশাপাশি, কৃষি বিভাগেকে বন্যার ফলে কৃষি জমিতে ক্ষতি হওয়া ফসলের পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজ কৃষকদের জন্য ব্যবস্থা করে দিতে কৃষি আধিকারীকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রদান করার ব্যবস্থা করতে বলেন।

এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, বিদ্যুৎ পরিষেবা ইত্যাদির খোঁজ নেন। এতে তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য কোন পরিবার যাতে বঞ্চিত না হয় তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিনের সভায় ডিডিসি দীপক জিডুং, জেলা পরিষদের সিইও লক্ষী নন্দন শহরিয়া, পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস, প্রশাসনিক আধিকারিক ও বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।

Show More

Related Articles

Back to top button